স্ত্রী নিখোঁজ, অপেক্ষায় প্রহর গুনছে স্বামী, নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে জলে ডুব স্বামীর
The wife is missing, the husband is waiting, the husband regularly dives in the water every week

Truth Of Bengal: ভালবাসার এমন দৃশ্য প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। যত দিন যাচ্ছে ভালবাসার উদাহরণ ততটাই কমছে। ফিকে হয়ে যাচ্ছে ভালবাসা শব্দটি। বিশেষ করে অপেক্ষা শব্দটি, এই শব্দটি কেবল বাংলা অভিধানেই খুঁজে পাওয়া যায়৷ তবে সত্যি সত্যি কি ভালবাসার অনুভূতির বন্ধন এতটাই কমে যাচ্ছে। মনে হয় না তা। কারণ নিখোঁজ হয়ে যাবার পরও নিজের স্ত্রীর জন্য ভালবাসার ডালি সাজিয়ে বসে রয়েছে স্বামী।
২০১১ সাল, সেসময় বিধ্বংসী এক সুনামিতে ধংস্ব হয়ে গিয়েছিল জাপানের বিস্তৃত অঞ্চল। ফুকুসিমা অঞ্চলটি সুনামির কবলে পড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ সেই সুনানিতে হাজার হাজর মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁদের মধ্যে অনেককেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে টাকামাতসু নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী এখনও নিখোঁজ। দিনের পর দিন খোঁজ করেও স্ত্রীর এখনও কোনও খবর জানা যাচ্ছে না। স্ত্রীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে স্বামী। যদি স্ত্রীর দেহাবশেষটুকুও চোখে দেখা যায় তারই অপেক্ষা করছে স্বামী।
স্ত্রীর একটা খবর যাতে নিজের কানে শুনতে পায় তার জন্য প্রতি সপ্তাহে জলের গভীরে ডুব দেন তিনি। ১১ মার্চ ২০১১ সালের অভিশপ্ত দিনের কথা জাপানের অধিকাংশ মানুষই ভুলতে পারেননি। ২০,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয় ওই সুনানিতে। ২,৫০০ জনেরও বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। ইউকোতে নিখোঁজ হয়েছিলেন টাকামাতসুর স্ত্রী৷ সেই ঘটনার কদিন পর থেকেই ওই স্থানে ঘোলা জলেই তিনি স্ত্রীর খোঁজে স্কুবা ডাইভিং করেন৷ সেই সময় থেকে প্রায় দশ বছরেররও বেশি সময় ধরেনিখোঁজ স্ত্রীর খোঁজের আশায় প্রহর গুনছে স্বামী। শুধু তাই নয় তার জন্য প্রতি সপ্তাহে জলে ডুব দেন তিনি। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার এমনই নজির মিলল টোকিওতে।