ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এবার ময়দানে নামতে চলেছে সৌদি আরবের দেশগুলো
The countries of Saudi Arabia are going to fight against Israel

THE Truth Of Bengal: জেরুজালেমের পবিত্র ভূমি,ইসলাম-ইহুদিও খ্রিস্টান ৩ সম্প্রদায়ের কাছেই পবিত্র।কিন্তু সেই পবিত্র স্থানের নিয়ন্ত্রণ কাদের দখলে থাকবে তাই নিয়ে বিবাদ কিছুতেই থামছে না। বিশেষ করে প্যালেস্টাইনের দখল নেওয়ার জন্য ইজরায়েল যখনই হাত বাড়িয়েছে তখনই ইয়াসের আরাফত প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিরোধ গড়ে ইজরায়েলের আধিপত্যকামী মানসিকতাকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা তিনি বারবার করেন।সেই লড়াই এখনও চলছে।এবার হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী ইজরায়েলে হামলা চালাতেই আক্রমণের ঝাঁঝ বেড়েছে।
ইজরায়েল প্রত্যাঘাত করতে উদ্যোগী হওয়ায় যুদ্ধের আকাশে আশঙ্কার মেঘ ঘনায়।শুরু হয়ে যায়,হামাস বনাম ইজরায়েলের লড়াই। দীর্ঘ দেড়মাস ধরে চলা এই লড়াই কবে থামবে বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।এরমাঝে সৌদি আরবের দেশগুলো ইহুদি অধ্যুষিত ইজরায়েলের স্পর্ধা দেখে বুঝে নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছে।তাতে অন্য আশঙ্কা দানা বাঁধছে।অর্থাত্ একদিকে মুসলিম বিশ্ব আর অন্যদিকে ইহুদি বা কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠীর পাল্টা লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ভয় বাড়ছে।তাই দ্বিমেরু বিশ্বের অতীত কথা যাঁরা জানেন তাঁরা বলছেন,প্রত্যাঘাতের মাত্রা যত বাড়বে তত যেমন হিংসা-রক্তপাত বা মৃত্যুমিছিল বাড়বে তেমই আবার অর্থনীতিও ডামাডোলের মধ্যে চলে যাবে।
তেল উত্পাদক দেশগুলো যদি যুদ্ধে জড়ায় তাহলে অর্থনীতিও সঙ্কটের গভীরে পড়তে পারে।তাই অর্থনীতি থেকে ধর্মীয় আবেগ সব কিছু এই পারস্পরিক যুদ্ধের আবহে অবনতির আশঙ্কা জাগাচ্ছে। সৌদি আরবের দেশগুলোর সুযোগ বুঝে ইজরায়েলকে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি দেখে আমেরিকাও চোখ বুঝে থাকছে পারছে না।তাই ওয়াশিংটন ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রাখার চেষ্টা করেও ইজরায়েলকে আক্রমণ থামানোর আবেদন করতে বাধ্য হচ্ছে।জো বাইডেন বুঝেসুঝেই সংশোধনের বার্তা দিচ্ছে।কিন্তু কে শোনে কার কথা।ইজরায়েল একগুঁয়েমি নিতে নিয়ে চলছে।ফলে রাষ্ট্রসংঘ থেকে শান্তিকামী মানুষ বলছেন,সবার আগে যুদ্ধ থামুক,নাহলে ধর্মযুদ্ধ শুরু হলে তার সুদূরপ্রসারী ফল ভুগতে হবে পশ্চিম এশিয়ার মতোই বিশ্বের বৃহত্তর অংশকে।