দেশ

শিক্ষার নামে শিশুকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া বড় নিষ্ঠুর কাজ, পর্যবেক্ষণ ছত্তিশগড় হাইকোর্টের

Corporal punishment of children in the name of education is cruel, observes Chhattisgarh High Court

The Truth Of Bengal: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের ওপর মারধরের ঘটনা প্রায়শই নজরে আসে।মূলতঃ শিক্ষাদানের সময় কথা না শুনলে অনেক সময় শিক্ষকরা পড়ুয়াদের শারীরিক শাস্তি দেন। এই ধরণের শাস্তি একেবারেই চলবে না বলে আদালত আগেই জানিয়ে দিয়েছে।তবুও এখনও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা সামনে আসছে।সেরকমই এক বেনজির ঘটনা সামনে আসে ছত্তিশগড়ে।এই রাজ্যের সুরগুজা জেলার  এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ক্লাস সিক্সের পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।অম্বিকাপুরের কনভেন্ট স্কুলের শিক্ষিকা এলিজাবেথ জোসের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে।সেই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ছত্তিশগড় হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়র হয়েছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাঁকে এফআইআর থেকে রেহাই দেওয়ার আবেদন করেন।কিন্তু সেই মামলায় ছত্তিশগড় হাইকোর্টের বিচারপতি রমেশ সিনহা ও রবীন্দ্র কুমার আগরওয়ালের ডিভিসন বেঞ্চ,সেই আবেদন খারিজ করে দেন।বিচারপতিরা  তাঁদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, “কোনও শিশুকে শারীরিক  শাস্তি বিধান কাম্য নয়।শারীরিক শাস্তি কখনই সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাপ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় ।যাঁরা শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন তাঁরা মোটেই ঠিক কাজ করেন না। ’’

বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে শিশুদের শাস্তি বিধান আসলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেও হাইকোর্ট মনে করছে। একইসঙ্গে হাইকোর্ট বার্তা দিয়েছে,আগামীদিনে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের ওপর এই ধরণের শাস্তি বিধান তাঁরা মেনে নেবে না। সমাজজীবনে শিশুদের সার্বিক বিকাশের স্বার্থে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে যে মতামত প্রকাশ করেছে তাতে বলা যায়,নাবালক পড়ুয়াদের শাস্তিদানের ক্ষেত্রে এবার শিক্ষকরা অন্ততঃ সতর্ক হবেন।বর্তমান সময়ে পড়ুয়ারা দুষ্টুমি করলে বা কথা না শুনলে  কিছু কিছু সময়ে  শিক্ষকদের মারধরের মুখে  পড়ে।এই ধরণের ঝোঁক আগের তুলনায় কমলেও  তা একেবারে কমিয়ে আনার পর সব রাজ্যের প্রশাসনের জোর দেওয়া দরকার বলে আইনের পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

 

 

 

 

Related Articles