গান লাইসেন্স কেলেঙ্কারিতে ৮ আইএএসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ সিবিআই
সিবিআই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে।
Truth Of Bengal: জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকের লাইসেন্স কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই তদন্ত জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্টের নজরদারিতে সম্পন্ন হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, একাধিক আইএএস অফিসার এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সিবিআই ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে। জানা গেছে, মন্ত্রক এই প্রস্তাব গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে।
জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ পল্লি পরিচালিত বেঞ্চ এই ঘটনার তদন্তের ওপর নজর রাখছেন। আদালতের শুনানিতে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বিশাল শর্মা জানিয়েছেন, মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ১৪ অক্টোবর যেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা সিবিআই এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকার বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে। অভিযুক্ত আইএএস অফিসারদের বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। পাশাপাশি, তাদের জড়িত থাকার প্রমাণও মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকরা আর্থিক সুবিধা ও ঘুষের বিনিময়ে ২.৭৪ লক্ষেরও বেশি ভুয়া বা অবৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স জারি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি যাঁরা বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না, তাদেরও লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এই কেলেঙ্কারির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা আটজন আইএএস অফিসারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন: পি কে পোলে, এম রাজু, ইয়াশা মুদগল, জিতেন্দ্র কুমার সিং, শাহিদ ইকবাল চৌধরি, নীরজ কুমার, প্রসন্ন রামাস্বামী এবং রমেশ কুমার। এই অফিসাররা ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, বারামুল্লা, উধমপুর, রাজৌরি, পুলওয়ামা, কার্গিল এবং লে-তে কর্মরত ছিলেন।
আইএএস পর্যায়ের অফিসারদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টে মামলা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। সেই কারণে সিবিআই এই অনুমতি চেয়েছে।






