স্বাস্থ্য

পুরুষ দেহে কমছে শুক্রাণু সংখ্যা, বিশ্বব্যাপী গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Human Sperm Count on Decline

The Truth of Bengal: বিশ্বব্যাপী শুক্রাণু নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। ১৯৭৩ এবং ২০১৮ সালে এরকমই বহু পুরুষের শুক্রাণু গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়। আর এই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৩ টা দেশের ৫৭ হাজার পুরুষের শুক্রাণুর স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়। আর তা নিয়ে চলে গবেষণা। যে দেশগুলির পুরুষের এই স্যাম্পেল গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই গবেষণার পর ২২৩ পাতার পেপারস প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৭৩ এর পর ২০১৮ – ৪৫ বছরের ব্যবধানে শুক্রানুর গতিপ্রকৃতি এই গবেষণায় উঠে এসেছে। ৪৫ বছর আগে এবং পরে পুরুষের জীবনযাপনে এসেছে নানান পরিবর্তন।

খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে কাজের বিভাজনেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। এই ৪৫ বছরে রক্ষণশীলতা কাটিয়ে মানুষ আরও আধুনিকতার পথে পাড়ি দিয়েছেন। দৈহিক সম্পর্ক থেকে পুরুষ ও মহিলার মেলামেশার মধ্যেও রক্ষণশীলতা দূর হয়েছে। গবেষণায় উঠে এসেছে এর প্রভাব ছত্রেছত্রে। বিভিন্ন উন্নত দেশ থেকে আফ্রিকার পিছিয়ে পড়া দেশ -নমুনা সংগ্রহ করা হয় সব জায়গার। এশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন দেশের পুরুষের শুক্রাণুর। গবেষণায় উঠে এসেছে, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া ইউরোপ মহাদেশের সংগৃত শুক্রানুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। শুক্রাণু সংখ্যা হ্রাসের কারণগুলি এই গবেষণায় উঠে এসেছে।

গত ৪৫ বছরের ৫০ শতাংশের বেশি শুক্রাণু সংখ্যায় বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত বীর্যের নমুনায় ২৮৮টি অনুমান করেছেন গবেষকরা। একটি কম শুক্রাণু সংখ্যা যাকে অলিগোজুস্পার্মিয়াও বলা হয়। একজন পুরুষের প্রতি মিলিলিটার বীর্যে 15 মিলিয়নেরও কম শুক্রাণু থাকে। শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকলে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই গবেষণায় উঠে এসেছে এরকম ভয়ংকর তথ্য। গবেষণায় উঠে এসেছে, শুক্রাণুর সংখ্যা শুধুমাত্র পুরুষের উর্বরতার সূচকই নয়, বাহ্যিক যৌন অঙ্গগুলির সাথে মানুষের স্বাস্থ্যেরও একটি সূচক। নিম্ন স্তরের শুক্রাণু দীর্ঘস্থায়ী রোগ, টেস্টিকুলার ক্যান্সার এবং আয়ুষ্কাল হ্রাসের ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গবেষণা চলছে। গবেষকরা বলছেন, এই ক্রমাগত পতনের কারণ এবং পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্যের আরও ব্যাঘাত রোধ করার জন্য পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন।