
Truth of Bengal: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আড়ালে বিজেপির কর্মসূচি ফ্লপ করে। পুলিশের নিশ্চিদ্র বেষ্টনী টপকে বিজেপি নেতা-কর্মীরা নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপরই বিজেপি লালবাজার অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে। ফিয়ার্স লেন দিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপির নেতা-কর্মীরা তুলকালাম বাঁধায়। বুধবার বিরোধী শিবির ১২ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বাংলাকে অচল করার অপচেষ্টা ব্যর্থ করার আবেদন জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
নবান্ন অভিযান সফল না হওয়ায় বিজেপির আন্দোলনকারীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন লালবাজারে। এবার জাতীয় পতাকা না নিয়ে সরাসরি বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়েই লালবাজার চত্বরে তারা ঢোকার চেষ্টা করে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও বিবিগাঙ্গুলি স্ট্রিটে বসে পড়েন। শোরগোল ফেলার চেষ্টা করেন। হাতে পাতাকা আর মুখে চড়া সুরে স্লোগান শোনা যায় তাঁর গলায়। সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতেই গার্ডরেল উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে বেপরোয়া বিজেপি ক্যাডাররা।
কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে অভিযানের নামে ক্ষমতা দেখানোর সেই খোলামেলা চেষ্টা প্রতিরোধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে পুলিশ। শান্ত,সংযত থেকে প্ররোচনামূলক পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা হয়। তবুও বেপরোয়া আন্দোলনকারীরা তাতে কান দেয়নি। অনড় গেরুয়া বাহিনীকে উত্তেজনা না ছড়ানোর আবেদনও করেন পুলিশ কর্তারা।এই অবস্থায় পুলিশ প্রতিরোধ গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, নবান্ন অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপি,পতাকা নিয়েই নৈরাজ্য সৃষ্টির খেলায় মাতে। একইসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব, দিল্লি নেতাদের নজরকাড়তে আরও একটা কর্মব্যস্ত দিন নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। সেই গেমপ্ল্যান অনুযায়ী, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কথা জানা সত্বেও বুধবার বিজেপি ১২ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে।
বিজেপি নেতাদের এই বনধ ব্যর্থ করার জন্য রাজ্য সরকার আবেদন জানিয়েছে। বুধবার বনধের ডাক মানা হবে না,রাজ্যকে স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্যউপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের দিনে বাংলা অচল করার বিরোধীদের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে ব্রাত্য বসু একযোগে,কর্মনাশা,বন্ধ্যা বনধ ব্যর্থ করে বাংলাকে সচল রাখার আবেদন করেছেন শিল্পায়নও উন্নয়নের রাজনীতির মাঝে বাধা সৃষ্টি করার কড়া সমালোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বনধের নামে তাণ্ডব রোখার জন্য প্রশাসনও ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যবাসীর স্বার্থে কর্মনাশা সংস্কৃতি পরিহার করার ডাকও দিয়েছেন।