দেশ

ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বাঁচাতে অনড় ‘ইন্ডিয়া’জোট, চাপে পিছু হঠল  কেন্দ্রের বিজেপি সরকার

The BJP government at the center backed down under the pressure of the stubborn 'India' alliance to save India's banking system.

The Truth Of Bengal: দেশবাসীর কষ্টের অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য স্বাধীন দেশের সরকার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চায়।এরপর ১৯৬৯ সালে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেন।কিন্তু তারপর সেই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়  দেশের সরকার।দেখা যায়,অর্থলগ্নি সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভরতা কমে যায়।মানুষ যাবতীয় অর্থ ব্যাঙ্কে জমা রাখে।কিন্তু বর্তমান মোদি সরকার সেই ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে।

২০২১-২২ -এর বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেন। নির্মলা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন,আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ছাড়া আরও ২’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ সরকার ছেড়ে দিতে চায়।আরও ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রস্তাবও রাখা হয়।তৃতীয় মোদি সরকার,সেই সংশোধনী বিল পেশ করার তত্পরতাও শুরু করে।আশা করা হয়েছিল,বাদল অধিবেশনেই এই সংশোধনী বিল পেশ করা হবে।মনে করা হচ্ছিল রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের মালিকানা ৫১শতাংশের নীচে নেমে আসবে।কিন্তু বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল কংগ্রেস,কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের চাপে পিছু হঠল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সংসদে যে সংশোধনী বিল পেশ করেন সেখানে ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের কোনও দরজা খোলার প্রস্তাব নেই।ফলে বিরোধী শিবির মনে করছেন,ভারত বাঁচাতে বিরোধীদের যে লড়াই তাতে বড়সড় সাফল্য মিলেছে। দেশবাসী পরিশ্রমের অর্থ যে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখে।

সেই  ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়  সংস্কারের নামে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত থেকে বিজেপি সরকার আপাতত পিছু হঠতে বাধ্য হল।বিরোধীরা এই ঘটনাকে বড়সড় জয় বলে মনে করছে। মোদি সরকার যাতে বেসরকারিকরণের ভাবনা থেকে পুরোপুরি পিছিয়ে আসে সেজন্য বিরোধীরা যে চাপ বজায় রাখতে চায় তাও তারা আভাস দিয়েছে।সংসদে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস-ডিএমকে-সমাজবাদী পার্টি একযোগে এই বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কণ্ঠ  জোরদার করায় সরকার নানা ইস্যুতে কোণঠাসা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

Related Articles