বিনোদন

প্রেক্ষাগৃহের পর এবার ওটিটিতে ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’! কবে কোথায় দেখা যাবে ভারতের ১ম প্যারাঅলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের গল্প?

After theaters, 'Chandu Champion' now on OTT

The Truth Of Bengal: কার্তিক আরিয়ানের ভক্তদের জন্য সুখবর। প্রেক্ষাগৃহের পর এবার ওটিটিতে মুক্তি পেল কার্তিক আরিয়ান অভিনীত প্যারাঅলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন বিজয় মুরলিকান্ত পেটকারের জীবনী অবলম্বনে তৈরি ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’। ব্যস্ততার কারণে যারা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখতে পারেননি তাঁরা এবার বাড়িতে বসেই এই ছবি দেখে নিতে পারবেন। ৯ আগস্টই অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেল এই ছবিটি। শুধু ভারতে নয় আরও ২০০টিরও বেশি দেশে সিনেমাটি স্ট্রিম করা হবে। কবীর খান পরিচালিত এবং নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্ট এবং কবীর খান ফিল্মস প্রযোজনায় ছবিটি তৈরি। ভারতের প্রথম প্যারালিম্পিক সোনা জয়ী মুরলিকান্ত পেটকারের জীবনী অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়। ছবিতে কার্তিকের পাশাপাশি আরও বিজয় রাজ, ভুবন অরোরা, যশপাল শর্মা, রাজপাল যাদব, অনিরুদ্ধ এবং শ্রেয়স তলপাড়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন ।

মুরলিকান্ত ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের একজন সৈনিক ছিলেন। যুদ্ধের জেরে আঘাতের কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েও পড়েছিলেন। শারীরিকভাবে অক্ষম হয়েও পড়লেও জীবনের কঠিন পরিস্থিতির কাছে কখনই হার মানেননি তিনি। তাঁর অদম্য মনোবল নিয়ে জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও খেলাধূলা চালিয়ে গেছেন তিনি। একাধিক খেলায় চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন তিনি। ১৯৭২ সালে প্রথম প্যারাঅলিম্পিক হিসেবে ভারতে স্বর্ণপদক নিয়ে আসেন তিনি। আর তাঁর ভূমিকায় কার্তিক আরিয়ানের দুর্দান্ত অভিনয় সকলের মন কাড়ে। ছবিটির ওটিটি রিলিজ নিয়ে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা জানান, ‘কিছু গল্প বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করা দরকার এবং চন্দু চ্যাম্পিয়ন তাঁর মধ্যে একটি। যা অনেক নিষ্ঠা এবং আবেগ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমি এই আশ্চর্যজনক টিমের সঙ্গে এই গল্পটিকে জীবনে আনতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন, ‘কবীর এবং পুরো টিম পরিপূর্ণতা আনতে কঠোর পরিশ্রম করেছে। প্রাইম ভিডিয়োর সঙ্গে আমাদের অতীতের কাজটি দুর্দান্ত ছিল এবং আমরা নিশ্চিত যে চন্দু চ্যাম্পিয়ন আজ যখন ওটিটিতে মুক্তি পাবে তখন সারা বিশ্বের দর্শক উপভোগ করবে।’

এ নিয়ে পরিচালক কবীর খান বলেন, ‘কনসেপ্ট থেকে ফাইনাল এডিট পর্যন্ত এই ছবিটি ভালোবাসার ফল। কখনও কখনও এমন গল্প আমাদের কাছে আসে, যখন আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি এই গল্পটি পড়ে। এটি এমন একজন মানুষের অনুপ্রেরণামূলক গল্প, যে কখনও হাল ছেড়ে দেয় না। আমরা এটি উদযাপন করতে এবং যতটা সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। প্রাইম ভিডিয়োর বিশাল প্রাপ্তির সঙ্গে, আমরা সারা বিশ্বের দর্শকদের চন্দু চ্যাম্পিয়ন শেয়ার করতে পেরে উত্তেজিত।’ কার্তিক আরিয়ান বলেন, ‘মুরলিকান্ত পেটকারের চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য একটি বড় সম্মান এবং একটি পরিবর্তনমূলক জার্নি বলা চলে। এই চরিত্রটি বোঝার জন্য আমি দেড় বছর ধরে কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাকে চিনি খাওয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হয়েছিল এবং একটি কঠোর ডায়েট অনুসরণ করতে হয়েছিল। তাঁর সত্যিকারের অনুপ্রেরণামূলক গল্প আমার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এবং আমি সবসময় কবীর স্যার এবং সাজিদ স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। আমাকে জীবনে একবার এই সুযোগ দেওয়ার জন্য। এটি আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছবি। যেখানে আমি একটি আট মিনিটের যুদ্ধের দৃশ্য করেছি। এর সঙ্গে কুস্তি, সাঁতার এবং আরও অনেক কিছু।’

Related Articles