আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বে ইউনূস, পাশে থাকার বার্তা আমেরিকার

Yunus in charge of the interim government of Bangladesh, America's message to stand by

The Truth Of Bengal: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা ইউনূসের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে একসাথে কাজ করার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এইদিকে বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসা বন্ধে মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তিকালীন সরকার এবং ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সচেষ্ট। তাই আমরা সরকার এবং ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।”

আমেরিকার পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিল এই কাজে তাদের সহায়তা করা হবে।” বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ  বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনূস-সহ অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের ১৪ জন সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান। এইদিন ইউনূস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন। সরকারের বাকি ১৬ জন হলেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধানরঞ্জন রায়, খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, শারমিন মুরশিদ এবং ফারুকি আজম।তবে এঁদের মধ্যে সুপ্রদীপ, বিধানরঞ্জন এবং ফারুকি ঢাকায় হাজির না থাকার জন্য বৃহস্পতিবার শপথ নিতে পারেননি। তবে তাঁরা পরে শপথ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে।

শপথ নিয়েই ইউনূস বলেন, ‘‘আমি বাংলাদেশের সংবিধানকে সমর্থন এবং রক্ষা করব। নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করব।’’ ইউনূস দীর্ঘ দিন বাংলাদেশের বাইরে ছিলেন বলেও জানা যায়। তবে হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়ে আবারো দেশে ফিরে আসেন।দেশে ফিরে তিনি সব সব পক্ষকে শান্তি রক্ষার জন্য বার্তাও দিয়েছেন।

Related Articles