দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে নেতাজির লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’, নয়া সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
Netaji's 'Taruner Swapno' in Class 10th Syllabus, New Decision of Board of Madhya Shiksha Parshad

The Truth Of Bengal: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে অবশ্যই রাখতে হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইটি। একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২৫ সাল থেকে দশম শ্রেণীতে অবশ্যই পড়াতে হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইটি। তবে এটি সিলেবাস বা পরীক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হবে না, অর্থাৎ এর কোনও মূল্যায়ন হবেনা। প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারি স্টুডেন্ট উইকের সরকারি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিবকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের ‘হিজ কল টু দ্য নেশন’ বইটি দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা হয়েছিল। তবে সেই বিষয়ে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।
শিক্ষকদের বক্তব্য, ছাত্র জীবনে ‘তরুণের স্বপ্ন’ পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম। ছাত্রদের মধ্যে দেশাত্মবোধ, মূল্যবোধ, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য এই বইটির কোনও বিকল্প নেই। নেতাজির চিঠি ও প্রবন্ধের সংকলনটি উদ্বুদ্ধ করে আসছে বিভিন্ন মানুষদের। তবে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত না করলে সেটি গুরুত্ব হারাবে বলে মত শিক্ষকদের। দশম শ্রেণীতে বেশিরভাগ অভিভাবক তাদের সন্তানদের ছবি আঁকা, গান, নাচ, বাদ্যসঙ্গীত, সাঁতার এই সমস্ত প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেন মাধ্যমিক পরীক্ষার গুরুত্ব মাথায় রেখে। এমনকি গল্পের বই বা সিলেবাসের বাইরের কোনো বই পড়ার উপরেও থাকে নিষেধাজ্ঞা। এই অবস্থায় কতজন ছাত্রছাত্রী ‘তরুণের স্বপ্ন’ পড়বে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘এটা ভালো উদ্যোগ। তবে, ‘মূল্যায়নবহির্ভূত পাঠ্য’ করায় এটির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এমনিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা লাইব্রেরিতে এটি পড়তেই পারে। তবে, কে পড়ছে বা পড়ছে না, তা জানা সম্ভব নয়। বরং, কোনও বিষয়ের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে তাতে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হলে, গুরুত্ব থাকবে।’ যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের।