দেশ

নয়া আইন লাগু হতেই প্রথম FIR দিল্লিতে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলার রুজু?

The first FIR in Delhi after the implementation of the new law, under which section of the case against the accused?

The Truth Of Bengal : দেশ জুড়ে চালু হয়ে গেল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। ইন্ডিয়ান প্যানেল কোড সোমবার থেকে অতীত। দেশের প্রত্যেকটি থানায় যা মামলার রুজু হবে সব কটি নয়া আইনের ধারা অনুযায়ী। নয়া আইন লাগু হবার পর প্রথম অভিযোগটি দায়ের হলো রাজধানীতে। দিল্লির কমলা নগর মার্কেট পুলিশ স্টেশনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ আইনের প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এক হকারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮৫ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। নয়াদিল্লি রেলস্টেশনের কাছে ওভারব্রিজে জায়গা দখল করে হকারি করছেন ওই ব্যক্তি।

পুরনো আইন অনুযায়ী আর মামলার রুজু করা হবে না। কেবলমাত্র আগের মামলাগুলি নিষ্পত্তি হবে আইপিসি এবং সিআরপিসি অনুযায়ী। নতুন যা কেস নথিভুক্ত হবে সবকটিই নতুন আইনের ভিত্তিতে। একইসঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়াও চলবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী। পুরনো আইন গুলি যে একেবারেই ব্যবহার করা হবে না তা নয়। দেশের বিভিন্ন আদালত ও থানায় জমে থাকা কেসের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। এই সবগুলি পুরনো আইন অনুযায়ী চলবে। ফলে পুলিশ থেকে আইনজীবী ও বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের নতুন ও পুরনো দুই আইনের কথাই মাথায় রাখতে হবে। শুধু তাই নয় অভিযোগ দায়ের থেকে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি সবকিছুতেই প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হবে মামলা যাতে বছরের পর বছর পেন্ডিং না থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে বিচার প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলকভাবে তিন বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে।

এতদিন গণপিটুনিতে খুনের ঘটনায় পুলিশ মামলার রুজু করত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায়। নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ১০৩ ধারায় মামলা রুজু করা হবে। বধূ নির্যাতনের ঘটনায় এতদিন আইপিসি ৪৯৮ ধারায় অভিযোগ করা হতো, ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ক্ষেত্রে আই পি সি ৩৩৬ সেকশনে মামলা হতো। তাও বদলে গেল নয়া আইনে। দয়া আইন নাভু হবার ফলে বিলোপ হল আইপিসি ১৮৬০, সিআরপিসি ১৯৭৩, ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট ১৮৭২। নয়া আইন লাগু হাওয়ায় বিরোধিতায় সড়ব বিরোধী দলগুলি। প্রতিবাদে নেমেছেন আইনজীবীরা।

Related Articles