মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের জবাব ১৩ই মে ইভিএম-এ দিতে হবে, কৃষ্ণনগরে ডাক অভিষেকের
Mahua Maitra has to answer for expulsion on May 13 in EVM

The Truth of Bengal: কোন তদন্ত ছাড়া প্রমাণ ছাড়া একজন সাংসদের পথ খারিজ করেছে এই স্বৈরাচারী বিজেপি।মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের জবাব ১৩ই মে ইভিএম-এ দিতে হবে। রবিবার কালীগঞ্জের সভা থেকে এই আহ্বান জানান অভিষেক বন্দ্যোপা্ধ্যায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানিকাণ্ড নিয়ে বিজেপির অবস্থান কী,তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
১৩মে বাংলায় পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।আর সেই ১৩মে ভোট হবে মহুয়া মৈত্রের কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে।দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রবিবার কালীগঞ্জে প্রচার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ব্যাখা করেন, কেন মহুয়া মৈত্রকে ভোট দেওয়া উচিত কৃষ্ণনগরের ভোটারদের। তাঁর দাবি, মহুয়া প্রতিবাদ করেছিলেন, সংসদে কৃষ্ণনগরের মানুষদের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন বলেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও তদন্তও করা হয়নি।তাই বাংলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যারা কণ্ঠরোধ করে,গণতন্ত্রের মন্দির থেকে বিতাড়িত করে,সেই বিজেপিকে গণতন্ত্রের লড়াইতে ধাক্কা দেওয়ার ডাক দিলেন অভিষেক। বলেন,গত বছরের থেকে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী করুন মহুয়াকে। এই ঋণ উন্নয়নের মাধ্যমে শোধ করা হবে। সন্দেশখালির মাধ্যমে যাঁরা বাংলাকে ছোট করেছেন দেশের সামনে, তাঁদের জবাব দেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি রাজ্যপালের শ্লীলতাহানিকাণ্ড নিয়েও সোচ্চার হন অভিষেক.
যেখানে রাজ্যের রাজ্যপাল একজন নারীকে শ্লীলতাহানি করতে পারে তার মতো জঘন্য ঘটনা আর কি ঘটতে পারে। সন্দেশখালির যে ঘটনা আজ প্রকাশ্যে উঠে এসেছে সেখানেই প্রমাণ হয়ে গেছে বিজেপি আরো কত নোংরা রাজনীতি করতে পারে। তৃণমূল কখনো নোংরা রাজনীতি করে না। রবিবার নদীয়ার কালীগঞ্জ পানিহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসভা করতে এসে কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের রাজ্যপাল কে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।