পৈতৃক বাড়িতে নেতাজি-স্মরণ, শঙ্খধ্বনি দিয়ে জন্ম বার্ষিকী উদযাপন গ্রামের মহিলাদের
Netaji-remembrance at ancestral home

The Truth of Bengal: শ্রদ্ধায় আবেগে গোটা রাজ্যজুড়ে পালিত হল দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। বাদ ছিল না সুভাষচন্দ্রের পৈতৃক ভিটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোদালিয়া। সারাদিন ধরে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এখানে। সকাল থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে। তাঁর ঘুরে দেখেন নেজাজির বাড়ি। জন্মদিনে বাড়িটি খুলে দেওয়া হয় সাধারণের জন্য। নেতাজির ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস এখনও রয়েছে এই বাড়িতে। সেইসব জিনিস চাক্ষুষ করা সুযোগ পায় সাধারণ মানুষ।
প্রায় ২০০ বছর আগে নেতাজির পিতামহ হরনাথ বসু কটক থেকে কোদালিয়ার চিংড়িপোতায় বসতি স্থাপন করতে এসেছিলেন। ওই এলাকায় বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। জমি কিনেও বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। পরে নেতাজির বাবা জানকীনাথ বসু বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে সেখানে একটি বিশাল বাড়ি তৈরি করেছিলেন। আটটি কক্ষ নিয়ে দুই তলা বিশিষ্ট বাড়িটি আজও বহু মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানকীনাথ বসু প্রায়ই ছেলে নেতাজিকে এই বাড়িতে নিয়ে আসতেন। নেতাজি প্রতি বছর দুর্গা অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতে এই বাড়িতে আসতেন। সেখানে প্রায়ই বিপ্লবীদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করতেন। বেশির ভাগ সভা হতো বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে। বুবার এই বাড়িতে রাত্রিবাস করেছেন তিনি। এত বছর পর আজও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে বীরবিপ্লবীর এই বাসভবন।
২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি জেলার একটি সরকারি সভা থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজির পৈতৃক বাসভবন দেখতে আসেন। ওই বাড়ির ভগ্নদশা দেখে তিনি বিস্মিত হন। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি ওই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই হেরিটেজ কমিশন ও রাজ্যের পূর্ত দফতর বাসভবনটি সংস্কার শুরু করে। ২০১৫ সালে বসু পরিবারের সম্মতির পর বাড়িটি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছিল। আজ যত্নের সঙ্গে সেজে উঠেছে বাড়িটি। প্রতিবছর নেতাজির জন্মদিনে ঘড়ির কাঁটায় ১২.১৫ বাজলেই বেজে ওঠে সাইরেন। শঙ্খধ্বনি দেন গ্রামের মহিলারা। বহুদিন ধরে চলে আসা সেই নিয়মের অন্যথা হয়নি আজও।