রাজ্যের খবর

জিআই তকমা পেল কালোনুনিয়া চাল, জিআই স্বীকৃতিতে উৎসাহ বাড়ছে

Kalonunia Rice 

The Truth of Bengal: উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার কৃষকরা এতদিন গুরুত্ব দিয়ে চাষ করে আসছেন তুলাইপাঞ্জি, তুলসিভোগ, বাসমতি অথবা গোবিন্দ ভোগ চাল। এইসব নামিদামি চালের পাশে ডুয়ার্সের আর একটি চাল এতদিন কার্যত ব্রাত্য ছিল। তার নাম কালোনুনিয়া চাল। সেই চাল এবার জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন রেজিস্ট্রেশন তথা জিআই ট্যাগ পেল। এখন ডুয়ার্সের এই কালো নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। জিআই তকমা পাওয়ায় এই কালো নুনিয়া চাল এবার দেশের অন্যতম ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসেবে গণ্য হবে। খুব অল্প চাষ হওয়া এই ধানে চাষে এবার বাড়তি আগ্রহী হবেন কৃষকরা। ডুয়ার্সে দীর্ঘদিন ধরে এই ধানের চাষ হলেও অবহেলার কারণে ধীরে ধীরে এই ধানের চাষ কমিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।

এই ধান চাষ করলে হাতির উপদ্রবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। এই ধানের সুগন্ধে জঙ্গল থেকে হাতি বেরিয়ে এসে অন্য ধানের বদলে কালোনুনিয়া ধান খেয়ে সাবাড় করে দেয়। ফলে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় কেউই আর আগের মতো এই ধান চাষ করতে আগ্রহী নন। তা ছাড়া অন্য ধানের তুলনায় এই কালোনুনিয়া ধানের উৎপাদন হারও কম। তাই চাষিরা খুব একটা আগ্রহ দেখান না। অবশেষে সেই কালোনুনিয়া চাল পেল জিআই তকমা। এবার পরিস্থিতি বদলাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। জিআই তকমা পাওয়ায় এবার চাষিরা বাড়তি উৎসাহিত হবেন। চাষ বাড়লে সেই চাল বিশ্ববাজারে পৌঁছ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে জেলাপ্রশাসন।

কালোনুনিয়া চালের চাষ বাড়াতে সব দিক থেকে প্রশাসন চাষিদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এখন চাশ কমে আসলেও এই কালোনুনিয়া চালের মাহাত্ম্য কয়েক শতাব্দী বছরের পুরনো। লোকমুখে প্রচলিত আছে, বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে কোচবিহারের রাজা কালো নুনিয়া চালের ভাত খেয়েছিলেন বলে ওই জায়গার নাম হয় রাজাভাতখাওয়া। সেই ঘটনার পর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া এলাকা ডুয়ার্স একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয়। জিএই তকমা পাওয়া কালোনুনিয়া চাল নিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির চাষিদের মধ্যে এখন উৎসাহ তুঙ্গে।

Related Articles