আন্তর্জাতিক
Trending

গরুর গলার ঘণ্টা নিয়ে বিবাদ, গণভোটের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের…

Dispute over cow bells, referendum decision in Switzerland

The Truth Of Bengal: গলায় বাঁধা ঘণ্টার শব্দে রাতে ঘুমানো দায়। গরুর গলায় থাকা ঘন্টা নিয়ে এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে সুইজারল্যান্ডের আরওয়ানগেন গ্রামে। গরুর গলায় ঘণ্টা থাকবে কি না তা ঠিক করতে গণভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সুইজারল্যান্ডের নাম শুনলেই সিনেমার পর্দায় দেখানো সেই সবুজের চাদরে ঢাকা পার্বত্য ভূমির কথা মনে পড়ে। দূশণহিন পরিষ্কার নিল আকাসের নিচে সবুজ চারণভূমিতে গরুর পাল ঘাস খাচ্ছে। গপুগুলির গলায় ঝোলানো রয়েছে বিশাল আকৃতির ঘণ্টা। সারাক্ষণই সেই ঘন্টা টুংটাং করে বাজছে। এই ঘন্টাগুলি সুইজারল্যান্ডের অন্যতম একটি প্রতীক। তবে সবারই যে ঐতিহ্যবাহী এই প্রথা ভালো লাগে, বিষয়টি এমন নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে মধ্য সুইজারল্যান্ডের আরওয়ানগেন গ্রামে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে বলা হয়, একটি আবাসিক এলাকার পাশের মাঠে থাকা ১৫টি গরু রাতভর থাকে। এদের গলায় বাঁধা ঘণ্টার শব্দে রাতে ঘুমানো দায়। মাঠের পাশে ভাড়ায় থাকা অ্যাপার্টমেন্টের দুই জোড়া দম্পতি মাঠের ওই গরুগুলোর গলায় থাকা ঘণ্টা যাতে কৃষক রাতের বেলা সরিয়ে নেন, সে জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান তারা। কিন্তু ঘণ্টার ঐতিহ্যবাহী ব্যবহার রক্ষায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এ নিয়ে তাঁরা ভোটের দাবি তোলেন। আরওয়ানজেনের মেয়র নিকলাউস লুন্ডসগার্ড-হ্যানসেন এক প্রশ্নের জবাবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ শুনে অবাক হয়েছিলেন। গরু যে এত বেশি শব্দ করে, এটা আমি জানতাম না। তবে জানতে পারলাম এরাও মানুষকে বিরক্ত করতে পারে।’ তবে এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে এত প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়াটা তাঁকে অবাক করেছে।

অভিযোগটি সুইজারল্যান্ডের প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে তুলে ধরতে অভিযোগের পক্ষে গ্রামের মোট বাসিন্দাদের ১০ শতাংশের সমর্থন দরকার ছিল। গ্রামের মোট ৪ হাজার ৮০০ বাসিন্দা। উল্টো গ্রামবাসীরা ‘বেল ইনিশিয়েটিভ’-এর পক্ষে অর্থাৎ গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার পক্ষে ১ হাজার ৯৯ গ্রামবাসীর সই সংগ্রহ করেছেন। সেখানে বলা হয়, গরুর গলায় সব সময় ঘণ্টা বেঁধে রাখার অধিকার কৃষকদের আছে।

Free Access