সরকারি স্কুলের শিক্ষাকে আরও জনমুখী করতে বাড়ানো হচ্ছে ডিজিটাল ক্লাসের সংখ্যা
Digital Class

The Truth of Bengal: কোভিডের সময় অনেকেই ক্লাসে যেতে পারেনি।সেইসব পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই ডিজিটাল ক্লাস চালু করা হয়।অনলাইনে পঠনপাঠন শিক্ষার গতিকে বা়ডায়।এখন কোভিড মিটে গেছে।তবে শিক্ষাকে সময়োপযোগী করার জন্য বিজ্ঞানের সেই বলিষ্ঠ দানকে কাজে লাগানোর ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলায় আধুনিক শিক্ষার ছন্দের সঙ্গে তাল মেলাতে ডিজিটাল ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । বেসরকারি স্কুলের প্রতি নির্ভরতা কমাতে সরকারি স্কুলে ডিজিটাল পরিকাঠামোর বন্দবোস্ত ভোল বদলে দিচ্ছে পঠনপাঠনের। জেলায় জেলায় স্মার্ট ক্লাস পড়াশোনার নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদের সুতির আলুয়ানি২০ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন সেই বিকল্প শিক্ষা চালু হওয়ায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলেই স্বস্তিতে।
ক্লাসে ঢুকলেই দেখা যায়,ক্লাসরুমের ভেতরে ব্ল্যাকবোর্ড, চক, ডাস্টার সরিয়ে পড়ুয়াদের মন বসাচ্ছে ডিজিটাল বোর্ডে।অ-আ-ক-খ থেকে এ-বি-সি-ডি,কচি গলায় রপ্ত হচ্ছে বর্ণমালা।অডিও ভিস্যুয়াল বা দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যমের রঙিন চিত্র আর রংবেরংয়ের লেখা কার্যতঃ কচিকাঁচা থেকে কিশোর সবার মনকে পড়াশোনায় মগ্ন রাখছে।শ্রেণিকক্ষের চারিদিকে বিভিন্ন কার্টুন , হাতি, সিংহ সহ নানা পশু-পাখির চিত্র নজর কাড়ছে।এলআইডি ক্র্রিনে ফুটে উঠছে কৌতুহলী পড়ুয়াদের জানা-অজানা নানা বিষয়।এই স্মাটক্লাসের কৌলিন্য বাড়িয়েছে একটি অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার ।স্কুলে এখন ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেমি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়।রয়েছে৯৯জন পড়ুয়া। স্মার্ট ক্লাসের পরিবেশকেই বদলে দিয়েছে।পাড়া গাঁয়ে এই ধরণের ক্লাস আগে ছিল না।
এখন মুর্শিবাদাবাদের বড়ঞার মতোই সুতিতেও স্মার্ট ক্লাসের সংখ্যা বাড়ায় আনন্দে আপ্লুত পড়ুয়ারা। তাঁরা বলছেন,থ্রিডি বাঘের ছবি আর তার সঙ্গে বাঘের ডাক বা পাখির কিচির মিচির যেন গুরুদেবের প্রকৃতিপাঠের স্বপ্নকে সার্থক করছে।সুতি র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরিন্দম দত্ত বলেন, “ এলাকায় ৭৩টি স্কুল রয়েছে। সব স্কুলকেই এই ভাবে পাঠদান চালু করতে উৎসাহ দেওয়া হবে।” পুজোর আগে গতানুগতিক শিক্ষার বদলে এই অন্যরকম শিক্ষাদান পড়ুয়াদের মনে যে আনন্দের লহর নিয়ে এসেছে তার সামাজিক তাতপর্য আলাদা বলে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন।
মানালী পাত্রের রিপোর্ট।
Free Access