কলকাতারাজনীতি

রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল! নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক চরমে

The governor conflict with the state!

The Truth of Bengal: প্রায় দু মাস ধরে রাজ্যের শিক্ষাদফতরের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যপালের। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষাদফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, ইউজিসির যে প্রটোকল রয়েছে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে, তাও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মানা হয়নি। রাজ্যের তরফে বারবার অভিযোগ তোলা হয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থা কুক্ষিগত করতেই রাজ্যপাল একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। শনিবারই আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজভবন থেকে। সেখানে যা বলা হয়েছে, তার অর্থ দাঁড়ায় শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যসরকারের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দেওয়া হল।

পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। স্বভাবতই এই নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই জোর তর্জা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে।বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রাজ্যপাল তথা আচার্যের পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে উপাচার্যের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সহ উপাচার্য এবং অন্যান্য কর্তারা নিয়ন্ত্রিত হবেন উপাচার্য দ্বারা। রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিন্তু তা মানতে বাধ্য থাকবেন না উপাচার্য। অর্থাৎ, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মানা হবে কিনা, তা পুরোটাই নির্ভর করছে উপাচার্যের সিদ্ধান্তের উপর।

কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামে মুখ‌‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, রাজ্যপালের জন্যই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। রাজ‌্যপাল সমস্ত ফাইল আটকে রাখছেন। মুখ‌্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করার পরই উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিদ‌্যাসাগর বিশ্ববিদ‌্যালয় রেজিস্ট্রারকে, ঝাড়গ্রামের বিশ্ববিদ‌্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন। শনিবার রাজভবনের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সেইসব নির্দেশকে খারিজ করে দেওয়া হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, উপাচার্যর অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ‌্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা কোনও আধিকারিক কোনও কাজ বা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।

Related Articles