রামনবমীর আগে রঘুনাথ মন্দিরে তৃণমূল বিধায়কের অনুদান, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা
Trinamool MLA's donation to Raghunath temple before Ram Navami, political row begins

Truth of Bengal: রামনবমীর আগে রঘুনাথ মন্দিরে টাকা অনুদান তৃণমূল বিধায়ক এবং চেয়ারম্যানের। তা নিয়ে তৃণমূলের ভোট রাজনীতি বলে কটাক্ষ বিজেপির। যা নিয়ে শুরু ধর্মীয় রাজনীতি তরজা।
রামনবমীর আগে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা রঘুনাথ মন্দিরে অনুদান তৃণমূল বিধায়ক এবং চেয়ারম্যানের। তৃণমূলের এই ভোট রাজনীতিকে ঘৃণা করি, কটাক্ষ বিজেপির। ধর্ম নিয়ে আবার রাজনীতির চর্চায় নদিয়ার শান্তিপুর।
নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত সুত্রাগড় ছুতোরপাড়া এলাকায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো একটি রঘুনাথ মন্দির রয়েছে। পুরনো ঐতিহ্য মেনে আজও রামনবমী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় সেখানে। সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো মন্দির হলেও সেভাবে মন্দিরের পরিকাঠামো গত উন্নয়ন ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে আবেদন জানানো হয় মন্দিরে উন্নয়নের জন্য।
সেইমতো শান্তিপুর বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী তার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এবং শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ তার উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পে দান করেন। মূলত বিধায়কের উন্নয়ন প্রকল্পে টাকা দিয়ে মন্দিরে একটি লোহার শেড তৈরি করা হয়। পাশাপাশি মেঝে পাকাপোক্ত করে বাধানো হয় চেয়ারম্যানের উন্নয়নের আর্থিক প্রকল্প দিয়ে। জানিয়ে রীতিমত শুরু হয় নতুন করে রাজনৈতিক তরজা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো মন্দিরটি নতুন ভাবে সেজে ওঠায় এবং দুই জনপ্রতিনিধির আর্থিক অনুদানের খুশি এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান, “এখানে কোন ধর্মীয় রাজনীতি বলে কিছু নেই। শান্তিপুর সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র। সেই কারণে আমরা মন্দির মসজিদ সব বিষয়েই উন্নয়নের দিকে নজর দিই।”
অন্যদিকে বিজেপি জেলা মুখপাত্র সোমনাথ কর বলেন, “এতদিন এই উন্নয়ন কোথায় ছিল? যেহেতু সামনে বিধানসভা ভোট সেই কারণেই সম্পূর্ণ ভোট রাজনীতি করছে তৃণমূল। আমরা এই ধরনের রাজনীতিকে ঘৃণা করি। উনি উন্নয়ন প্রকল্পে মন্দিরের অনুদান দিয়েছেন এটা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু অনুরোধ করব এইভাবে ভোট রাজনীতি করবেন না।”