অসময়ের বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল, ক্ষতির মুখে বাদাম চাষ
Untimely rains water in the cultivated land, loss of almond cultivation

The Truth of Bengal: দুদিন টানা বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে চাষের জমিতে। পূর্ব মেদিনীপুরে এখন বাদাম চাষের মরসুম। অনেক চাষি জমিতে বাদাম বীজ লাগিয়েছিলেন। সদ্য হওয়া চারাগাছের গোড়ায় এখন জল জমে গিয়েছে। দ্রুত সেই জল সরাতে না পারলে পচে যাবে বাদাম গাছের চারা। ফসল বাঁচাতে জমিতে জল বের করছেন চাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল বাদাম। এখন বাদাম চাষের মরসুম। চাষিরা জমিতে বাদাম বীজ লাগিয়েছিলেন। অসময়ের বৃষ্টিতে শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত হল বাদাম চাষ। একটানা এই বৃষ্টিতে বাদাম বীজ লাগানো জমিতে দাঁড়িয়ে যায় জল। আর সদ্য গজিয়ে ওঠা বাদামচারাগুলির গোড়ায় জল জমায় পচন শুরু হতে পারে।
অবিলম্বে জল না সরানো গেলে সব বাদাম চারাগাছ মরে যাবে। চাষিরা চেষ্টা করছেন জমিতে জমে থাকা জল সরানোর। এমনই দেখা গেল এগরা, পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বাদামচাষ শুরু হওয়ার মুখেই এমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। আগের বছর বাদাম চাষের শেষে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবছর মরসুমের শুরুতে বৃষ্টি জেরবার করে দিল। নতুন করে বাদাম লাগানো সময় নেই হাতে। ফলে যে সব চাষির জমির বাদাম গাছ মরে যাবে তাঁদের এবছর এই চাষ থেকে দূরে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না। রাজ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ বাদাম চাষের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বাদাম চাষের সঙ্গে যুক্ত।
বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয় এই বাদাম চাষ থেকে। অন্য আর পাঁচটা ফসলের থেকে বাদাম চাষে একটু বেশি পরিচর্যা দরকার। এখন বৃষ্টিতে বাদাম গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ায় বড় ক্ষতির মুখে চাষিরা। জেলার বাদাম চাষিদের অভিযোগ, এলাকায় অনেক জায়গায় অবৈধ ভাবে ভরাট হচ্ছে জমি। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। যার জন্য অল্প বৃষ্টি হলে এখন জমে যাচ্ছে চাষের জমিতে। বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন চাষিরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সারাদিন একটানা বৃষ্টি হওয়ায় বাদাম চাষের জমিতে বেশ জল দাঁড়িয়ে যায়। গাছ বাঁচাতে এখন সেই জল বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।