
The Truth of Bengal: পরপর বাড়ছে গণপিটুনির শিকারের ঘটনা। গত কয়েকদিনে মোট ৫ জনকে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। বেশ্রিভাগ ক্ষেত্রে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে। তাও বন্ধ হচ্ছে না গণপিটুনির ঘটনা ঘটনা। মানুষের এই অসহিষ্ণু মনোভাব নিয়ে শঙ্কিত সমাজবিজ্ঞানীরা। একদিকে চলছে গুজব ছড়ানো, অন্যদিকে চলছে গণপিটুনি। শহর কলকাতায় গণপিটুনির শিকার হয়ে পরপর দু’দিন প্রাণ গিয়েছে দু’জনের। একটি ঘটনা বউবাজারের ঘটনা। অন্য ঘটনাটি সল্টলেকের। এই দুটি ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার গণপিটুনির বলি।
ঝাড়গ্রামে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হল যুবককে। স্কুটি নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন দুই বন্ধু। গুরুতর জখম অবস্থায় ৯ দিন ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় এক যুবকের। অন্য যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখানেই শেষ নয়। চোর সন্দেহে হুগলির পাণ্ডুয়া ও তারকেশ্বরে পিটিয়ে মারা হল দুই যুবককে। মানুষ নির্মম ভাবে পিটিয়ে মারল ওই পাঁচ জনকে। যাদের পিটিয়ে মারা হল, মানুষ চাইলেই তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারত। অপরাধ করলে পুলিশ তাঁদের সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করত। কিন্তু, উন্মত্ত জনতা তা করেনি। বদলে পিটিয়ে জলজ্যান্ত পাঁচটি প্রাণ কেড়ে নিল। কোথায় যাচ্ছি আমরা? সমাজ চিন্তিত মানুষের সহিষ্ণুতা নিয়ে।
রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। পুলিশে অভিযোগ জানালে সুরাহা মিলবে না ধরে নিয়েই আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। বউবাজারের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে, সল্টলেকের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে৩ জনকে, ঝাড়গ্রামের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ২ জন। পাণ্ডুয়ার ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২ জনকে। তারকেশ্বরের ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে ২ জনকে। তাও মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। নির্মমতা ছেড়ে সহনশীল হোক মানুষ। আস্থা রাখুক প্রশাসনের ওপর। যেখানে আইনের বলে বিচার হবে অপরাধীর।