রাজ্যের খবর

বর্ষার জলে বেহাল রাস্তা, রাস্তার হাল ফেরাতে তৎপর প্রশাসন

The road has been damaged by the rain

The Truth of Bengal: বর্ষার জলে বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তা। কিভাবে সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করবেন তাঁরা তা ভেবেই পাচ্ছে না দাঁতনের ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এই অবস্থায় গাঁয়ের রাস্তা সারানোর দাবি উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত রাস্তার হাল ফেরাতে শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চায়। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে টাকা না দিলেও রাজ্য নিজেদের অর্থ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে। বঞ্চনার মাঝে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

গ্রামীন রাস্তা নির্মাণে রাজ্যের মতোই অর্থ দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দীর্ঘ দিন ধরে টাকা দিচ্ছে না।অভিযোগ,২০২১সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হেরে যাওয়ার পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ১লক্ষ ১৬হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই অবস্থায় বঞ্চনা সত্ত্বেও রাজ্যে রাস্তা নির্মাণে এগিয়ে এসেছে বাংলার সরকার। রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পে ১২হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা সংস্কার বা সংযোজনের কাজেও নজর দিয়েছে প্রশাসন। তার মাঝে বর্ষার জলে বেশকিছু রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় সেখানে রাস্তা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এরকমই একটি রাস্তা রয়েছে পঃমেদিনীপুরের দাঁতনের ফতেপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। বর্ষার বৃষ্টিতে  ফতেপুর গ্রামের রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফতেপুর থেকে বন্ধুচক পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা বড় সমস্যার হয়ে পড়েছে।

পড়ুয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দা,শিক্ষক থেকে অভিভাবক,সবাই এই রাস্তার দুরাবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফতেপুর থেকে বন্ধুচক অব্দি প্রায় ১.৫ কিলোমিটার রাস্তায় কোথাও ১ ফুট গর্ত, কোথাও বৃষ্টির জমে আছে, কোথাও কাদায় ভর্তি। একেবারেই যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। বন্ধুচক হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় পড়ে গিয়ে বহুবার পড়ে গিয়ে আহত ও হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন রাস্তা খারাপের জন্য স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ও কম। এই অবস্থায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেওয়ার কথা দিয়েছেন আমাদের ক্যামেরার সামনে। বর্ষার জন্য রাস্তায় এই সমস্যা তৈরি হওয়ায় মানুষ অসন্তুষ্ট হচ্ছে।কিন্তু বৃষ্টির দাপট কমলেই রাস্তার হাল ফেরাতে চায় প্রশাসন।

Related Articles