পরিষেবা দিয়ে চলেছে পুরসভা,মিলছে না কর বাবদ টাকা, টাকা মেটাতে উদাসীন রেল-ডাকঘর
Rampurhat Development

The Truth of Bengal: পানীয় জল সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিছন্নতা, স্ট্রিট লাইট সহ আরও অনেক কিছু। পুরসভার তরফে দেওয়া হচ্ছে সবরকমের পরিষেবা। তাও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন অফিস থেকে মিলছে না কোনও টাকা। রামপুরহাট পুরসভার দাবি, ১৯৯৫ সালে শেষবার কর জমা দিয়েছিল রেল। তারপর ২৯ বছর কর বাবদ একটি টাকাও জমা পড়েনি। ফলে সেই বকেয়া টাকা জমতে জমতে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এছাড়াও শহরের প্রধান ডাকঘর থেকেও মিলছে পরিষেবা বাবদ কর। বকেয়া কর আদায়ের জন্য পুরসভা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে চিঠি দিতে চলেছে।
এবিষয়ে রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন ভকত জানান, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও শহরের উন্নয়নের কাজে প্রয়োজন বিপুল টাকা। কিন্তু রেল এবং ডাক বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দেওয়ার পরেও বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না। পুরসভা এলাকায় রেলের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। প্ল্যাটফর্মের বাইরেও যাত্রীদের সুবিধার্থে কোনও জলের ব্যবস্থা করা নেই। এর ফলে পুরসভার জল পান করেন হাজার হাজার যাত্রী। প্ল্যাটফর্মের বাইরে নেই কোনও শৌচাগার। শহরের বাইরে অবস্থিত শৌচাগারগুলি ব্যবহার করে থাকেন রেল যাত্রীরা। এই সবকিছুর জন্য তিন মাস অন্তর ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কর দেওয়ার কথা রেলের। তবে বিগত ২৯ বছর ধরে সেই কর দিচ্ছে না রেল। আর সেই কর আজ জমতে জমতে দাঁড়িয়েছে ৪৩ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এবার যাতে সেই মেটানো হয় তার জন্য রেলকে চিঠি দিতে চলেছে পুরসভা।
শুধু রেল নয়, শহরের প্রধান ডাকঘরের তরফে জমা দেওয়া হচ্ছে না কর। পুরসভার দাবি, তিন মাস অন্তর ডাকঘরের তরফে পুরসভার পরিষেবা কর বাবদ ২৬ হাজার ১০০ টাকা করে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন সেই কর না দেওয়ার ফলে বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। পুর প্রশাসনের দাবি, মানুষের সুবিধায় সব রকম পরিষেবা দেওয়া হলেও মিলছে না পরিষেবা বাবদ কর।