স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রয়াণে শোক, শ্রদ্ধা জানাতে হাজির মন্ত্রী
The minister came to mourn and pay tribute to the freedom fighter

The Truth Of Bengal,Nadia: জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার জঙ্গলমহলের সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী হারাধন সাহা প্রয়াত হলেন। ভোটার কার্ডে যার বয়স ১০৫ বছর। কিন্তু পরিবারের দাবি বয়স ১১৫। বিখ্যাত এই মানুষটির প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাঁকসার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ভিড় জমান। মন খারাপ গোটা জঙ্গলমহলবাসীর।
গত কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনিটে কাঁকসার মলানদিঘির সরস্বতীগঞ্জের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাতি নিত্যানন্দ সাহাকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রে। দীয়েছিলেন ভোট। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে না পারলেও বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে দিয়েছিলেন ভোট। ২০২৩ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবার লাঠি হাতেই ভোট দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রে। আবার দোরগোড়ায় আর একটি লোকসভা নির্বাচন। জেলার মানুষ ভেবেছিলেন এবারেও লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী থাকবেন তিনি। হঠাৎ কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যা বাড়তে থাকে তাঁর। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনেটে কাঁকসার জঙ্গলমহলের সরস্বতী গঞ্জের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হারাধন সাহা। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সবাই। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
ইতিহাস বলে একসময় ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করতে এসেছিলেন জওহরলাল নেহরুরা। ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের সঙ্গীও হয়েছিলেন তিনি। একেবারে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন শতায়ু এই মানুষটি। এলাকার মানুষের বিপদে পাশে থাকতেন। সেই মানুষটির চলে যাওয়া অত্যন্ত বেদনার জঙ্গলমহলবাসীর কাছে।
FREE ACCESS