সহকারি ২ শিক্ষকের হাতে মার খেলেন প্রধান শিক্ষক, ঘটনার পিছনে যে রহস্য রয়েছে, দেখুন ভিডিয়ো
The head teacher beat the assistant 2 teachers

The Truth of Bengal: রাজ্য সরকার অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করতে তৎপর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে বারংবার এই নিয়ে কড়া মনোভাব পোষণ করেছেন। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে অনেকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ সামনে আসছে। সেক্ষেত্রে রাজনীতির রঙ না দেখে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। একটা গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সামনে শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।মারধর করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের করিয়ালি সার্কেলের দুবোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল হককে। চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয় প্রধান শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষক হাতের দুটো আঙুলে গুরুতর চোট পান। এমনকি জামা কাপড় টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের করিয়ালি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে।অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের সহকারী দুই শিক্ষক সফিকুল ইসলাম ও ভাস্কর মন্ডলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে এই গন্ডগোলে ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষককে মারধর করার উস্কানি দিয়েছেন খোদ বিদ্যালয় পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তরা।পাশাপাশি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে, তিনি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরের চেয়ার উঠিয়ে সহকারী শিক্ষকদের মারধর করেছেন।
ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াজুল প্রধান শিক্ষক হয়ে এই স্কুল যোগদান করেন। দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে মিড ডে মিল নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষকদের মধ্যে গন্ডগোল চলছিল। সেই সমস্ত গন্ডগোলের নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় দুই পক্ষকেই।অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের সামনে অভিযোগ জানাতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও দুই সহকারী শিক্ষক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মারপিটে আহত হন প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল।