প্রাণীদের জলপানের বিকল্প ব্যবস্থা, তৃষ্ণা মেটাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা
The forest department of Bankura has arranged water for the deer

The Truth of Bengal: তাপপ্রবাহের জন্য মানুষের মতোই প্রাণীরাও জলসঙ্কটের মুখে পড়ছে। তাই চিতল হরিণদের জলপানের ব্যবস্থা করেছে বাঁকুড়ার বনদফতর। রীতমতো জয়পুর জঙ্গলে ডোবা কাটা হয়েছে ৩৫০-র বেশি হরিণের জন্য। তীব্র গরমে তাদের দেওয়া হচ্ছে পানীয় জল,কাঁচা ছোলা,বিট লবণ ও গুড়।
বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ৪০ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। লালমাটির জেলায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। উড়িষ্যার বারিপদার মতোই তাপপ্রবাহের কবলে লালমাটির জেলা ।নিরন্তর বইছে গরম হাওয়া।গলা শুকিয়ে যাচ্ছে মানুষের মতোই বণ্যপ্রাণীদের।জলসঙ্কটের জন্য মহিলারা হাঁড়ি –কলসি নিয়ে রাস্তায় বসতে বাধ্য হচ্ছে। জলের হাহাকারের আঁচ লেগেছে মানুষের মতোই প্রাণীদের জীবনেও। তাই প্রাণীদের স্বস্তি দিতে জলপানের ব্যবস্থা করেছে বনদফতর।জঙ্গলজুড়ে সিমেন্টের পাত্রে হরিণ সহ অন্যান্য প্রাণীদের ঠান্ডা পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে।সঙ্গে স্বাস্থ্যকর কাঁচা ছোলা,বিট লবন এবং গুড় দেওয়া হচ্ছে। বণ্যরা মহানন্দে এই জলযোগে সামিল হচ্ছে।
তীব্র গরমের হাত থেকে প্রাণীদের বাঁচানোর জন্য জয়পুর জঙ্গলজুড়ে একাধিক জায়গায় সিমেন্টের পাত্রে ঠান্ডা পানীয় জল, কাঁচা ছোলা, বিট লবণ ও গুড় দেওয়া হচ্ছে। বনদপ্তরের দাবি, জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় বন্যপ্রাণীদের জল খাওয়ার জন্য একাধিক ডোবা কেটে রাখা হয়েছিল তীব্র দাবদহে তা শুকিয়ে গেছে,তাই জলের জোগান অব্যাহত রাখতে নিয়মিত জলসরবরাহ করা হচ্ছে। বন্যদের বনে লালনপালনের জন্য বাঁকুড়ার বনদফতরের এই প্রাণীবন্ধু ভাবনাকে তারিফ করছেন অনেকেই।