রাজ্যের খবর

ভবিষ্যতে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে

The flood situation may worsen in the future

Truth Of Bengal : ড. সুজীব কর : বন্যা হল ভারতবর্ষের অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা অতীতেও সংঘটিত হতো। কিন্তু মানুষের নদীর ওপর হস্তক্ষেপের পরবর্তী সময় থেকে বন্যা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। ভূমিভাগের উপর দিয়ে নদীর জলধারার প্রবাহমানতা বাস্তবিক ক্ষেত্রে ভূমিভাগের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয়তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় নদীখাতগুলিকে আবদ্ধ করে তার থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করেছি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিরাচরিতভাবে প্রবাহমানতার দ্বারা নদী যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারতো তার সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়েছে।

বন্যা যেমন এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ তেমনি আবার বন্যার কিন্তু বেশ কিছু ধনাত্মক প্রভাবও আছে যা অতীতে আমরা অনুভব করতাম। গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা বিশেষত যারা নদী উপত্যকা অঞ্চলে বসবাস করেন তাদের কাছে বন্যা ছিল অনেকটা আশীর্বাদের মত। কারণ বন্যার ফলে দু-কূল ছাপিয়ে জলধারার সাথে প্রচুর পরিমাণে নবীন পলিমাটি ভূমিভাগ আচ্ছাদিত করে যার উপরে নির্ভর করে পরবর্তী তিন থেকে চার বছর চাষাবাদের কাজ যথেষ্ট ভালো হয়। ফলে বহু প্রাচীনকাল থেকেই নদী এবং বন্যা, ওতঃপ্রোতভাবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হিসেবে আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠিত ছিল এবং তখন নদীখাতগুলোর উপরে এই ধরনের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ ঘটেনি।

পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৩.৫ শতাংশ অঞ্চল বন্যা গঠিত সমভূমির অন্তর্গত এবং এই অঞ্চলে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬.৫ শতাংশ লোক বসবাস করে। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই জনসংখ্যার পরিমাণ ১৯.৭ শতাংশের এর কাছাকাছি আর ভারতবর্ষে এই বন্যা গঠিত সমভূমি অঞ্চলের পরিমাণ প্রায় ৭.২ শতাংশের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে বন্যা গঠিত সমভূমি অঞ্চলের ভূমিভাগের পরিমাণ প্রায় ৮.২ শতাংশের এবং এই অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২২.২ শতাংশ জনগণ বসবাস করেন।

প্রকৃতির ওপর হস্তক্ষেপের সাথে সাথে প্রকৃতির প্রকৃত দর্শন যদি উপলব্ধি করা না যায় তাহলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সেগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং কোন একটি সময় তা মানব সমাজের ওপর তীব্র আঘাত হানে। তাই যথোপযুক্ত পরিকল্পনা ছাড়া এই হস্তক্ষেপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন পথ নেই। দিনের পর দিন মানুষের চাহিদার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটবে এবং সময়ের সাথে সাথে মানুষ উন্নততর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে আরো বেশি করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করার চেষ্টা করবে এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ফলে যে সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলি বর্তমানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে সেগুলি কনোটিই আমাদের কাছে নতুন নয়।

তাহলে বলা যেতে পারে, সমস্যা হলেও আমরা এখনো পর্যন্ত প্রস্তুত নই । প্রকৃতিকে আমরা নিছকই আমাদের ব্যবহারযোগ্য একটি ক্ষেত্র বলে ধরে নিয়েছ। যার ফলে প্রাকৃতিক এই ধরনের ঘটনাবলী আমাদের কাছে অত্যন্ত অবাঞ্ছিত । কিন্তু আমরা যদি ক্রমাগতভাবে প্রকৃতিকে ভোগ করি তাহলে তার এই অবাঞ্ছিত বিষয়গুলিকে আমাদেরকে গ্রহণ করতেই  হবে। অর্থাৎ বন্যা এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বিন্দুমাত্র প্রস্তুত নই কারণ বন্যার সমস্যা সমাধান করতে গেলে তার জন্য যে পরিমাণ ব্যায়ভার বহন করতে হবে তার দ্বারা আমরা বরং অন্য কাজ নিশ্চিন্তে সমাপ্ত করতে পারি। সুতরাং, আমরা নদীকে যেমন খুশি ব্যবহার করব আর তার বন্যা নিয়ে খানিকটা রাজনীতি করবো এটাই মনে হয় আমাদের পশ্চিমবঙ্গের জনগণের ভাগ্যাকাশে এক অদ্ভুত সত্যের মতো,  কপাল লিখনে যেন কেউ লিখে দিয়েছে।

বর্তমানে ভারতবর্ষের তথা পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলিকে যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে অধিকাংশ নদীর গতিপথে অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হচ্ছে এবং ঋতুভিত্তিক প্রবাহ যোগ্যতা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে নদীতে যে পরিমাণ জল প্রবাহিত হতে পারতো সে পরিমানের ও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অধিকাংশ নদীর ঢালের পরিবর্তন ঘটেছে অর্থাৎ নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত ধীরঢাল যুক্ত যে ভূ-গঠন নদীর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সেই ঢালের পরিবর্তন ঘটে গেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের জন্য এই সমস্ত নদী খাতগুলিতে ঢালের পরিবর্তন ঘটেছে। নদীর জলকে নিয়ন্ত্রণ করার কারণে বিভিন্ন সময় নদীতে চড়া ও নদীতে দ্বীপ সৃষ্টির মত ভূমিভাগ গড়ে উঠতে দেখা যায়। আবার কোথাও কোথাও যথেষ্ট জল না থাকায় নদীখাত দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বালি, পলি ও কাদা প্রবাহিত হতে পারে না। যার ফলে তারা একটা সময় নদী খাতের মধ্যেই জমে যায়।

তাছাড়া উচ্চ গতিপথে নদীর প্রবাহকে বেঁধে ফেলার ফলে নিম্ন গতিপথ ক্রমশই শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং কোথাও কোথাও নদী অতিরিক্ত জল বহনে তার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। নদীখাতের মধ্যে সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নদীর সরল রৈখিক প্রবাহ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে নদীকে আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হতে গিয়ে অনেক বেশি সময় অতিক্রম করতে হয়। যার ফলে নদীখাতের মধ্যে অতিরিক্ত জল প্রবাহ হওয়ার সময় আটকে যায় এবং তার ফলে দুকুল ছাপিয়ে নদী প্রবল বন্যা সংঘটিত করে।  বর্তমানে অবাঞ্চিত শহরায়নের ফলে নদীর উপত্যকার পার্শ্ববর্তী স্থানে বড় বড় নির্মাণ এবং নদী পাড়ের ওপর দিয়ে রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রভৃতি ধীরে ধীরে নদীকে সংকীর্ণ করে তুলেছে।

কোথাও কোথাও আবার নদীর উভয় প্রান্তে সৌন্দর্যায়নের মত পদ্ধতি গৃহীত হওয়ায় নদীখাতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পরিবর্তন নদীর প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে কখনো কখনো নদীর গতিবেগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায় আবার কখনো গতিবেগ হ্রাস পায়। তার প্রভাব স্বরূপ অনিয়মিত এবং অনিয়ন্ত্রিত বৃষ্টিপাতের জল যখন নদীখাত গুলোর মধ্যে প্রবেশ করে তখন স্বাভাবিকভাবে নদীর ধারণ ক্ষমতাকে অতিক্রম করে যায় এবং তার ফলে নদী খাতের প্রান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে ভূমিধ্বস এবং নদীর গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যায় ।

বন্যার সাথে পশ্চিমবঙ্গের নদ-নদীগুলির পরিচিতি বহু প্রাচীন কাল থেকেই। উত্তরবঙ্গে বন্যা সংঘটিত হয় সিকিম, ভুটান এবং দার্জিলিং পাহাড়ে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত সংঘটিত হলে। অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে একটানা দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত সংঘটিত হলে যেমন বন্যা সংঘটিত হয় তেমনি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি যখন প্রচুর পরিমাণে জল ত্যাগ করে তখন তার থেকে বন্যা সংঘটিত হয়। সুতরাং এই দুই ধরনেরবন্যা পশ্চিমবঙ্গে এখন নিত্য সঙ্গী।  কিন্তু সেই বন্যা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি কোথায়‍?  সমগ্র পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের সাথে সাথে বিশ্ব জলচক্রের যে পরিবর্তন তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্দেশ করে যে বছরের পর বছর উত্তরোত্তর বন্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে এক শতাংশ ভ্রান্তি নেই। তাহলে তার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে আমাদেরকে তৈরি হতে হবে এই বন্যাকে মোকাবিলা করার জন্য।

তার জন্যই নদীখাতগুলিকে প্রতিমুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং যথোপযুক্ত জরিপ ক্রিয়ার দ্বারা নদীগুলির ঢালকে অপরিবর্তিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। নদী খাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবাঞ্চিত ভাবে যারা বালি বা পলি উত্তোলন করেন তাদেরকে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করতে হবে। কারণ এই সমস্ত লোকেরাই নদীরখাতের ঢালের পরিবর্তন ঘটাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। কোন একটি অঞ্চলের নদীখাত থেকে যদি অবাঞ্চিত ভাবে প্রচুর পরিমাণে পলি ও বালি তুলে নেয়া হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে নদীখাতের আকস্মিক ঢাল পরিবর্তন নদীর গতিকে আরো বৃদ্ধি করে এবং শুধু তাই নয় নদীর জলের প্রবাহের উপর তাদের বিশেষ প্রভাব পড়ে এবং তাতে নদীর জল তার স্বাভাবিক প্রবাহকে বন্ধ করে আবর্তনশীল অবস্থায় নদী খাতের মধ্যে দিয়ে তীব্র গতিতে প্রবাহিত হতে থাকে।

এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই নদী খাতের প্রান্তবর্তী অংশে জলের চাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং নদীর গতিবেগ গুণিত আকারে বেড়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এই শক্তিশালী প্রবাহ নদীর উভয় প্রান্তের ভূমিভাগকে দ্রুত ক্ষয় করে ফেলে। সেই সমস্ত ক্ষয়ীভূত পদার্থ প্রবাহিত হয়ে নদী খাতের মধ্যে সঞ্চিত হয় এবং সেখান থেকে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক।

তাই প্রাকৃতিক সম্পদকে যদি যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করতে হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে সেই প্রাকৃতিক সম্পদকে আমরা কতটা লক্ষ্য নজর করছি? বাস্তবিক ক্ষেত্রে নদী আমাদের কাছে ব্যবহারযোগ্য একটি উপাদানে পরিণত হয়েছে ঠিকই কিন্তু নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কোন সদর্থক ভূমিকা কোন অংশেই গৃহীত হয়নি। যার ফলে নদী কখনো কখনো তীব্র এবং ভয়ংকরী, আবার কখনো কখনো নদী কর্পোরেট বিশ্বের মানুষের কাছে একটি পণ্যে পরিণত হয়। আবার কখনো কখনো আমাদের ভোগ ও বিলাসী চেতনার কাছে নদী হারিয়ে যায়।

আমাদের দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি প্রত্যেক বছর একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে আমাদের প্রত্যেকটি বিভাগে এর জন্য বেশ কিছু দক্ষ মানুষেরা আছেন যারা সঠিকভাবে কর্ম সম্পাদন করলে এই বন্যার জন্য সরকারকে অতিরিক্ত এক পয়সাও ব্যায় ভার বহন করতে হয় না। শুধু তাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একজন মানুষকে ও এই বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয় না।  কিন্তু তার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা কোথায়? বহুকাল পূর্বে শুনেছিলাম ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা কিন্তু যে সময়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল বর্তমানে সে ক্ষেত্রে নদীর চরিত্র সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে গেছে অথচ প্রত্যেক বছরই মানুষের সামনে উপস্থাপিত করা হয় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান এর কথা।

সুতরাং আমরা আমাদের কাজকে সঠিকভাবে করতে না পারার জন্য মানুষকে অযথা লাঞ্ছনা ভোগ করতে হয় এবং সরকারকে প্রত্যেক বছর প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয় এবং এক শ্রেণীর মানুষেরা এই নদী এবং বন্যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় মেতে ওঠেন। আর প্রত্যেক বছরই ডিভিসিকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়তে হয় আর তার দ্বারা বন্যা হয়। মানুষের প্রচুর পরিমানে বিত্ত সম্পত্তি নষ্ট হয়, আর সরকারকে এর বিপুল ব্যয়ভার বহন করতে হয়। ফলে সরকারের দুর্যোগ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবং সেচ দপ্তর যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে প্রত্যেক বছর মানুষকে এই ধরনের বন্যা কবলিত হতে হয় না। এই বছরে আমরা পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া,  মুর্শিদাবাদ এর কিছু অংশ এবং ঝাড়গ্রাম জেলার কিছু অংশে যে বন্যা পরিস্থিতিকে দেখছি ভবিষ্যতে তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে যদি সরকারি এই সমস্ত দপ্তরগুলি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে।
মুখ্যমন্ত্রী মহাশয়ের কাছে অনুরোধ ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে এবং শুধু তাই নয় এই অবস্থা যদি অপরিবর্তিত থাকে তাহলে মানুষের দুর্দশা ও উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে। ডিভিসিকে প্রত্যেক বছর জল ছাড়তেই হবে নতুবা আরো বড়সড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে । ফলে অনতিবিলম্বে এই ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। নতুবা প্রত্যেক বছর রাজকোষ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থের ব্যয়ভার বহন করতে হবে। আমাদের কাছে সময় সত্যি নেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ধীরে ধীরে যেভাবে থাবা বসাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে তা আরো তীব্র রূপ ধারণ করবে সুতরাং প্রস্তুত আমাদের হতেই হবে নতুবা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলি ধীরে ধীরে আমাদেরকে আরো তীব্র লাঞ্ছনাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে।

Related Articles