দীঘা সমুদ্র সৈকতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল তাজপুরে
The body of the student who drowned in Digha beach was recovered in Tajpur

The Truth of Bengal: দীঘা সমুদ্র সৈকতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল তাজপুরে। প্রায় ২৬ ঘন্টার পর ছাত্রের দাহ উদ্ধার হয়। দীঘা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে সমুদ্রে তলিয়ে প্রাণ যায় এই দশম শ্রেণীর ছাত্রের।গতকাল দীঘায় বেড়াতে এসে সমুদ্রে তলিয়ে যায় স্কুল ছাত্র পর্যটক। পুলিশ এবং জুলিয়া দের তৎপরতায় একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অপরজন সমুদ্রে তলিয়ে যায় নিখোঁজ ছাত্রের নাম শুভজিৎ দে বয়স ১৫। বাবা সুমিত দে। বাড়ি উত্তর 24 পরগনা মধ্যমগ্রাম থানা এলাকার। ঘটনা জানা যায় গতপরশু শুভজিৎ এবং তার ভাই বিশ্বজিৎ সহ তার মায়ের সঙ্গে দীঘা বেড়াতে আসেন। দুজনেই স্কুল ছাত্র।
এদিন তারা মায়ের সাথে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটে স্নান করতে যায়। এদিন সকাল থেকেই ছিল সমুদ্র উত্তাল। সকাল ১০ টার নাগাদ তারা জগন্নাথ ঘাটে স্নান করতে নামেন। কান করার সময় দাদা শুভজিৎ কে তলিয়ে যেতে দেখে ছোট ভাই বিশ্বজিৎ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তখনই নুলিয়াদের চোখে পড়ে। মুলিয়া এবং স্থানীয় পুলিশ সেইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবেলার দপ্তরে কর্মীরা, ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে, কিন্তু ততক্ষণে শুভজিৎ অনেকটাই মাঝ সমুদ্রে তলিয়েতে থাকে। তৎক্ষণাৎ দীঘা থানার তৎপরতায় স্পিড বোর্ড নামানো হয়।
দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজি চালানো হলেও শুভজিতের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। অবশেষে আজ মান্দারমনি কোস্টাল থানার অন্তর্গত তাজপুর সমুদ্র সৈকতের পাশে উদ্ধার হয় নিথর দেহ। ইতিমধ্যেই পরিবারের লোকজন এসেছে মান্দারমনি পোস্টাল থানায়। পরিবারের লোকেরা থানা দারস্থ্য হয়েছেন। দীঘা থানা তরফ থেকে দুটি স্পিডবোট এবং নুলিয়া দের বীচে নামানো হয়েছিল গতকাল। দীঘায় স্নানঘাট গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করে বাড়ানো হলেও অনেকে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা নামেনেই সমুদ্রে নেমে যাচ্ছেন যার ফলেই ঘটছে বিপত্তি।