ধুলাগড়ে কাজে গিয়ে ট্রাক চালকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার! ঠিক কী ঘটেছিল?
The bloody body of the truck driver was found at work in Dhulagarh! What exactly happened?

The Truth Of Bengal : ট্রাক নিয়ে বাইরে বেরোনোই হলো বিপত্তি। আর বাড়ি ফেরা হলো না তার। চলে গেল তারা দের দেশে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ধুলাগর এর একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ভেতরে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, প্রত্যেক দিনের নেয় এদিনও সকালে উত্তর ২৪ পরগনার অন্তর্গত বারাসাতের বাসিন্দা সন্দীপ সাউ একটি ট্রাক নিয়ে বাইরে বেরিয়ে ছিলেন। ছেলেটির বয়স ৪৭। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, তাদের বাড়ির ছেলে একটি সংস্থার হয়ে ট্রাকে করে পণ্য নিয়ে গিয়ে সেই পণ্য ওঠানো নামানোর কাজ করতো। গত শনিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সেই কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। আর রবিবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি বাড়িতে পরিষ্কার জানিয়েই গিয়েছিলেন যে তিনি রাতে ফিরে আসছেন। কিন্তু রাত দশটা পেরিয়ে গেলেও কোন দেখা মেলিনি সন্দ্বীপের।
এরপর তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর আজ সকাল ছটা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তার বাড়ির ছেলে সোমবার সকালে মারা গিয়েছে। তারা সন্দীপের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের কাছে খুনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য ঘটনার স্থলে আসেন সাঁকরাইল থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের আধিকারিকেরা। তবে জানা যায় এদিন তাদের বাড়ির ছেলে খুন হলেও ট্রাকের থেকে কোনো রকম কোনো পণ্য চুরি যায়নি। একটি সন্দীপে স্ত্রী এবং দুই ছেলে মেয়ে ছিল। এই ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারসহ গোটা এলাকায়।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানান, ” ইতিমধ্যে পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ট্রাক চালকেরা ওখানে রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার সময় কোন বিষয়ে বচসা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। আর সেই বচসার জেরে এই খুন হতে হয় এই ট্রাক চালকটিকে। ইতিমধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটি আসলে কিভাবে ঘটলো তা ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”