লাগাতার বৃষ্টিতে নাজেহাল বীরভূমবাসী, জলযন্ত্রণা বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ
Residents of Birbhum are upset by the continuous rain

The Truth of Bengal: অতি ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক এলাকা। প্লাবিত গোঘাটের বিভিন্ন গ্রাম। বদনগঞ্জ থেকে আরামবাগ যাওয়ার রাজ্য সড়ক জলথৈথৈ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। বীরভূমের সদাইপুরের মতোই আসানসোলের নিয়ামতপুরেও জলযন্ত্রণা বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ।
অগাস্ট মাস পড়তেই বৃষ্টির বহর বেড়েছে। এবার ঘূর্ণাবর্তের বৃষ্টিতে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক জেলা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে সাতটি জেলায়। তার মধ্যে রয়েছে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং বীরভূম।দেখা যাচ্ছে,গত ৩দিনের অতিভারী বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার মতোই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির দলে প্লাবিত গোঘাটের বিভিন্ন গ্রাম।যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা। বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে যায় কামারপুকুর –বদনগঞ্জ সড়কপথ। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বৃষ্টির জল নেমে এসে পড়ছে কংসাবতীর খালে। খাল থেকে দামোদর নদ উপচে যাচ্ছে। গোঘাট ২ ব্লকের সাতবেড়িয়া, পাণ্ডুগ্রাম, পশ্চিম অমরপুর এবং তারাহাটের মাঠঘাট ভাসিয়েছে। এমনকি, সাতবেড়িয়ায় আরামবাগ-গড়বেতা রোডেও ফুটখানেক জল উঠে গিয়েছে।
বদনগঞ্জ এলাকার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিস্তীর্ণ এলাকায় গ্যাস থেকে ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে যেতে গেলে সমস্যা হচ্ছে। তাই জলযন্ত্রণা যে এইসব এলাকার মানুষের জ্বালানির জোগানে টান ধরাচ্ছে তা বলাই যায়।
লাগাতার বৃষ্টিতে নাজেহাল বীরভূমের মানুষ। সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামের চল্লিশটির কাছাকাছি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। সেই কারণে ওই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। এই এলাকা প্রত্যেক বছরই একটু বেশি বৃষ্টি হলেই ডুবে যেতে দেখা যায়। অন্ততপক্ষে গত কয়েক বছর ধরে এমনই পরিস্থিতি চলছে। অন্যদিকে রাতভর এমন বৃষ্টির ফলে পুরন্দরপুর থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার যে বাইপাস রয়েছে সেই বাইপাস জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাইপাস জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরবাইক আরোহীরা রাস্তা পারাপার করছেন। পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, সবাই আসতে না পারায় শিক্ষাঙ্গনের দরজা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ায় কোপাই নদীর জল সেতুর উপর দিয়ে বিপদজনক ভাবে বইছে। দীর্ঘ কয়েক বছর পর ফের এই সেতুর উপর দিয়ে তীব্র গতিতে জল বইছে। আর সেই কোপাই নদীর সেতুর উপর দিয়েই বিপদজনক ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। এই পথ দিয়েই পাড়ুই হয়ে খুব সহজেই সিউড়ি চলে যাওয়া যায়। তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় সমস্যায় স্থানীয়রা। তবে সেতুর উপরে জলের মধ্যেই বিপদ হাতে করেই আনন্দ উপভোগে মেতেছেন অনেকেই। কিন্তু কোপাই নদীর জল বৃদ্ধি পেলে বা বৃষ্টিপাত আরো বাড়তে থাকলে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাবে।
বৃষ্টিতে জলমগ্ন আসানসোলের রেলপার সহ নিয়ামতপুর এলাকার বেশ কিছু অঞ্চল। বৃদ্ধি পাচ্ছে গাড়ুই নদীর জল। আসানসোলের রেলপার এলাকায় রামকৃষ্ণ ডাঙ্গা এলাকায় ঢুকছে জল। নিয়ামতপুরে বেশ কিছু এলাকায় বাড়িতেও জল ঢুকছে ।তাই আশঙ্কিত শিল্পাঞ্চলের মানুষ।