পিঠেপুলির মরসুমে বাড়বে গুড়ের বিক্রি! খেজুরগাছে হাঁড়ি বাঁধতে শুরু করেছেন শিউলিরা
preparation of nolen gur in purba bardhaman in winter season

Truth Of Bengal: শীতের অমৃত নলেন গুড়। রসগোল্লা,সন্দেশের মতোই পিঠে-পুলি তৈরিতে এই নলেনের ডাক পড়ে। বিশেষ করে রসিকজনরা এই রসের স্বাদ আস্বাদন করে মন ভরান। আপনারা জানেন, নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘রস’ গল্পের কথা।রস যে শুধু গাছের রস নয়,আবেগের রস তা সাহিত্যের মতোই চলচ্চিত্রেও বারবার তুলে ধরা হয়েছে।এখন সেই খেজুড়গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুড়রসে টান পড়ছে।শীতের সময় যাঁরা জমিয়ে খানাপিনা করেন তাঁদের যে খেজুড়গুড় ছাড়া চলে না সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।তাই রসের রাজা খেজুড় জোগাড় করতে এক জেলা থেকে অন্যজেলায় ছুটে যেতে কসুর করছেন না গুড়ের কারবারীরা।সেরকমই ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে।দেখা যায়,নদিয়ার দেবগ্রাম থেকে রায়নায় পৌঁছে গেছেন শিউলিরা।খেজুড় গাছ থেকে রস পেরেই তা হাঁড়িতে ভরছেন তাঁরা। গুড় থেকে বড় একটা লাভ না হলেও গুড় কারবার বাঁচিয়ে রাখার টানেই এই দূর-দূরান্তে তাঁরা ঘাঁটি গাড়ছেন বলে জানাচ্ছেন গুড় ব্যবসায়ীরা।
শহরের মানুষেরা এই সোনালি গুড় বড় একটা পান না।তাই কেউ বাইকে করে বা গাড়ি করে এসে সবার আগে শীতের রসদ জোগাড় করছেন। মন ভরে হাঁড়ি করে নিয়ে যাচ্ছেন খেজুড় গুড়।
বর্ধমান আরামবাগ রোডের উচালন গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া ঘাঁটিতে বসেই নিজেদের হাতের জাদু দেখাচ্ছেন নলেন গুড়ের কারবারিরা।গুড়ের কারবারি বলেন, খেজুর রস জাল দিয়ে গুড় তৈরির প্রক্রিয়াও বেশ পরিশ্রমের।রসকে যে আলাদা যত্ন করে তৈরি করতে হয় তাও তাঁরা মনে করেন।এখন পিঠেপরবের মরসুমে জমজমাট বেচাকেনা করে উপার্জনের ভাঁড়ার ভরাতে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করছেন গুড়ের কারবারীরা।