
The Truth of Bengal: এখন মোটের ওপর এক কেজি ইলিশ হাজার থেকে বারোশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দাম বেশি থাকলেও মধ্যবিত্ত বাঙালি এককিলো-দেড় কিলো ইলিশ কিনছেন। এপারের ইলিশ স্বাদ মেটালেও আক্ষেপ মিটছে না।কারণ পদ্মার ইলিশের জাতটাই আলাদা। যাঁরা বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ খেয়েছেন,তাঁদের জিভে অন্য ইলিশ একেবারেই মন জয় করে না।তাই বাংলাদেশ সরকার এপার বাংলায় ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দিতেই স্বাদের বাজারে উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ ভারতে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক।আপাতত পেট্রাপোল সীমান্তে ৯টি ট্রাকে ৫০ টন পদ্মার ইলিশ পৌঁছেছে।সেই ইলিশ ধীরে ধীরে মাছের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।আশা,পদ্মার ইলিশ ইলাশবিলাসীদের মনের আশা পূরণ করবে।দর একটু বেশি হলেও ণিবিদ্যা বিভাগের ওই অধ্যাপক বলেন, কম চর্বিযুক্ত ইলিশ দেখে কিনতে হবে। তাছাড়া মা মাছের পেটটা একটু চওড়া হবে। উজ্জ্বলও হবে। এ ধরনের ইলিশ খেতে স্বাদ হয়। তবে বাজারে এখন বড় বড় যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে এগুলো সবই সাগরের মাছ।দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ ভারতে রফতানি করার অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক।
তাদের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই অনুমতি ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গত বছর পুজো উপলক্ষে ২৯০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হলেও মাত্র ১৩০০ টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছিল।
তাই এবার ৫ হাজার টন ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশের কাছে আবেদন করে কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারপরে চিন্তাভাবনা করে এই ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। আর, বুধবারেই ইলিশ মাছ ধরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। ইলিশ মাছের প্রজনন এবং উৎপাদন আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রতি বছর এই সময়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই সময়ে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৩ বাস্তবায়নের জন্য একটি বৈঠক হয়। বুধবার এই বৈঠকে বসে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি। সেখানেই বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করিম, ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কথা জানান।তিনি বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এই উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে চাইছি। এই জন্য আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে মৎস্যজীবীরাই সেই ইলিশ আহরণ করবেন। তারাই লাভবান হবেন।’
তবে, এর ফলে ভারতে ইলিশ রফতানির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে কী না তানিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার নয়টি ট্রাকে প্রায় ৫০ টন পদ্মার ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পৌঁছাল।পেট্রাপোল বন্দর হয়ে রাজ্যে এসে পৌঁছালো প্রায় ৫০ কুইন্টাল ইলিশ মাছ । এই ইলিশ মাছের জন্য অপেক্ষায় ছিল বাঙালি । দুর্গাপুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন এই উৎসবের আগেই খুশির হাওয়া বাঙালির মধ্যে । জানা গিয়েছে এই ইলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আগামীকালের মধ্যেই পৌঁছে যাবে । এক একটি গাড়ি তে ৪-৫ টন করে মাছ আসছে । জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার আরো ইলিশ আসার কথা । বাংলাদেশের বাণিজ্যিক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে মোট ৭৯ টি সংস্থাকে ইলিশ রপ্তানির জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় আসবে ইলিশ । মোট ৩৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আসবে বঙ্গে ।পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট ফিরোজ মন্ডল বলেন আজ বঙ্গে প্রথম পদ্মা ইলিশ ঢুকলো। এখন নটি গাড়ি এসেছে পরে আরো তিনটে গাড়ি আসবে । এখনো অব্দি প্রায় ৪৫ টন মাছ এসেছে ।