বেগুন দেখে লাউ ভ্রম , ২ কেজি ওজনের বেগুন মালদায়…
One eggplant weighs about 2 kg. Large size brinjal is cultivated in Malda

The Truth Of Bengal: ঠিক অনেকটা মালদার বিখ্যাত ফজলি আমের মতো। এক একটি বেগুনের ওজন প্রায় ২ কেজি। হ্যাঁ এমন বৃহৎ সাইজের বেগুন চাষ হয় মালদায়। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ মাটির উর্বরতা ও আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন। দামও অনেক বেশি। প্রায় ১০০ টাকা প্রতি কেজি।
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে লাউ। তবে লাউ নয়, সব্জিটি বেগুন। লাউয়ের সাইজে বেগুন? কী অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ অবাক হওয়ারই কথা। এক একটি বেগুনের ওজন ২ কেজি পর্যন্ত হয়। গল্প কথা নয়। সত্যিই মালদায় চাষ হয় এত বড় সাইজের বেগুন। তবে মালদার সর্বত্র চাষ হয় না এমন বেগুন। মূলত পুরাতন মালদার পুখুরিয়ার রাজাপুরে চাষ হয় এই বেগুন। এছাড়াও ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মহিষবাথানি, গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া এলাকায় কিছু জমিতেও চাষ হয়। এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এই প্রজাতির বেগুন আর অন্য কোথাও চাষ হয় না। প্রতিবছর কৃষকরা বেগুনের বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন।
পরবর্তীতে সেই বীজ বপন করেন চাষ হয় এই বেগুন। এই প্রজাতির বেগুনের বীজ কোথাও কিনতে পাওয়া যায় না। প্রাচীন কাল থেকেই এই বেগুনের চাষ হয়ে আসছে মালদায়। একসময় মহানন্দা নদীর তীরে নবাবগঞ্জে বিশাল হাট বসত। কৃষকরা ওই হাটেই এই বিশাল বেগুন বিক্রি করতেন। হাটের নাম অনুসারেই এই বেগুনের খ্যাতি। তাই এই বেগুনের নাম নবাবগঞ্জের বেগুন। এখনও এই নামেই পরিচিতি বিশাল এই বেগুনের। বর্তমানে বিশাল আকারের এই বেগুনের দাম ১০০ টাকা কেজি। মালদা শহরের বাজারে পাওয়া যায়। দাম অনেক বেশি। তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে এখন এই বেগুন।
মালদহ জেলায় উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার তিনটি ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে এই বেগুন বর্তমানে চাষ হচ্ছে।
আগে অনেক বড় সাইজের বেগুন হলেও ধীরে ধীরে এই বেগুনের ওজন এখন অনেকটা কমে গিয়েছে। কারণ গতানুগতিক চাষ। অন্য কোথাও এই বেগুন চাষ না হওয়ার কারণ মাটির উর্বরতা ও আবহাওয়া। মূলত শীতকালেই পাওয়া যায় এই বেগুন। জেলা ছড়িয়ে অন্য জায়গায় আছে এই বেগুনের চাহিদা। ঠিক অনেকটা মালদার বিখ্যাত ফজলি আমের মতো।
Free Access