
The Truth of Bengal: ১০ দিনের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনই হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। ঘটনাটি ঘটেছে অসম-বাংলা সীমান্ত আলিপুরদুয়ারের বক্সিরহাটে।
আলিপুর দুয়ারের স্থানীয় এক ট্রাক ব্যবসায়ী বিনয় দাস। তাঁর কাছে মহালয়ার দিন হোয়াটস অ্যাপে একটি চিঠি আসে। প্রথম দিকে তিনি সেটি কাজের চাপে খেয়াল করেননি। কিন্তু, পরে নজরে আসতেই তাঁর মাথায় হাত। তিনি খেয়াল করেন, কেএলও-র নামে তাঁকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে বা হয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। এর পরেই, তিনি থানায় অভিযোগ করেন। তিনি জানান, হোয়াটস অ্যাপে যে মেসেজটি এসেছে, সেটি একটি বাংলাদেশের নম্বর। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, একটা সময় অসম-বাংলা আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকার এই গ্রাম ছিল কেএলওদের অন্যতম ঘাঁটি। কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংয়ের বোন এই গ্রামেই থাকতেন। তিনি প্রথমে জঙ্গি আন্দোলনে থাকলেও পরে ফিরে আসেন মূল স্ত্রোতে। ২০০৩ সালে ভুটানে একবার সেনা অভিযানের ধরা পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন জেলে বন্দি ছিলেন। পরে কেএলও জঙ্গি ও লিঙ্কম্যানদের চাকরির ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।
গত কয়েক বছর ধরে, কেএলও জঙ্গিদের দাপট সেভাবে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে সোচ্চার হলেও, বড় কোনও ঘটনা ঘটনোর সুযোগ পায়নি তারা। কিন্তু পুজোর মুখে ব্যবসায়ীর কাছে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগ ওঠায়, চিন্তায় ব্যবসায়ী।
আলিপুরদুয়ারের বক্সিরহাট থানায় বিনয়বাবু ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে চিঠিটি বিনয়বাবুর কাছে এসেছে, তাতে লেখা রয়েছে অনুদান হিসেবে তাঁর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। হুমকি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিলে প্রাণে মারা হবে। তবে কোথায়, কখন এবং কীভাবে টাকা দিতে হবে, সেবিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি হুমকি চিঠিতে।