স্কুলছুটের ঝোঁক কমছে, শিক্ষার মন্দিরে গিয়ে জীবন গড়ছে রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ পড়ুয়া
High school for quality education

The Truth of Bengal: স্কুলছুটের ঝোঁক কমছে। এখন শিক্ষার মন্দিরে গিয়ে জীবন গড়ছে রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ পড়ুয়া। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থেকে কম্পিউটারে ই-এডুকেশনের হাতেখড়ি সবই করছে রাজ্যের স্কুলগুলো। তাই ৬বছর হলেই পড়ুয়াদের স্কুলে ভর্তি করে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। নারীশিক্ষার প্রসারে কন্যাশ্রী,রূপশ্রী, বা মেধাবীদের স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ,বাড়ির আঙিনা থেকে শিক্ষাঙ্গনে নিয়ে আসছে পড়ুয়াদের।পরিকাঠামোর বিকাশ ঘটাতে ইতিমধ্যে রাজ্যের ২,২০০টি হাইস্কুলকে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে এবং ৮০০টি জুনিয়র হাইস্কুলকে হাইস্কুলে উন্নীত করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের মেরুদণ্ড শক্ত করতে শিক্ষার আলো ছড়াতে সবার আগে এগিয়ে আসে বাংলার সরকার।এগারো থেকে শুরু হয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কাজ।বিধানসভা,নবান্ন থেকে জনতার মঞ্চ সবজায়গায় একথা ব্যাখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।চিরাচরিত শিক্ষা থেকে কম্পিউটার এডুকেশন বা কারিগরি শিক্ষার বিশ্বমাণের পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে তিনি পরিস্কার করেছেন। বিশেষ করে মানবসম্পদের উ্ন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদিও সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে বলেও স্কুল শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা দফতর স্পষ্ট করেছে।রাজ্য বাজেটে দেওয়া অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের স্পষ্ট তথ্য,
- উন্নতমানের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে ৮০০টি জুনিয়র হাইস্কুল
- হাইস্কুলে উন্নীত হয়েছে
- ২,২০০টি হাইস্কুলকে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে
- উন্নীত করা হয়েছে
- ৭,২৫১টি নতুন স্কুল বিল্ডিং ও ২.১৮লক্ষ
- শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়েছে
- উচ্চশিক্ষার ভিত গড়তে ১২বছরে
- ৫২টি কলেজ ও ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হয়েছে
কন্যাশ্রী,সবুজসাথী,ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্পের পাশাপাশি স্কুল ক্রেডিট কার্ড,একাদশ শ্রেণি থেকে স্মার্ট কার্ড চালু করায় পড়ুয়াদের বহুমুখী শিক্ষার বিকাশ হচ্ছে বলে প্রশাসনিক তথ্যে পরিস্কার। ই-লার্নিংয়ের মতো অত্যাধুনিক পদ্ধতিকে সহজপাঠ করে তুলতে পরিকাঠামোর মতোই প্রযুক্তির জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগও করা হচ্ছে। যাতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বা স্বামিজীর আদর্শে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার হয়।হাতেকলমে কাজ শিখে যন্ত্রসভ্যতার পিলসুজ হতে পারে নতুন প্রজন্ম।সেজন্য
- তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ই-লার্নিংয়ের জন্য
- দেওয়া হচ্ছে ট্যাব ও স্মার্টফোন
- এককালীন ১০হাজার টাকা করে নগদ সাহায্য
- দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের পরিবারকে
- ২৩-২৪ সালে ৯.৭লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্মার্টফোনের মাধ্যমে
- ভার্চুয়াল লার্নিংয়ের অংশীদার হয়েছে
নানা ব্যবস্থাপনার ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা রাজ্যে অভাবনীয়ভাবে কমছে।জামা-জুতো থেকে বই-ব্যাগ সবই রাজ্য সরকার দেওয়ায় অভিভাবকদের পড়াশোনার খরচ কমেছে। সরকারি ইংরেজীমাধ্যম বিদ্যালয়,বেসরকারি স্কুলে পড়ার প্রতি ঝোঁক কমাচ্ছে। জাতীয় স্তুরে সমীক্ষায় স্পষ্ট বেসিক লার্নিংয়ে বাংলা সেরা হয়েছে।একইসঙ্গে দেশের শিক্ষা সম্পর্কিত একটি সংস্থা ২০১৮ থেকে কুড়ি সালের মধ্যে সমীক্ষা করে। ২৬টি রাজ্যের ৫৮৪টি জেলার ১৬ হাজারের কিছু বেশি গ্রামের মধ্যে ৫২ হাজারেরও বেশি পরিবারকে বেছে নিয়েছিল সংস্থাটি। তাঁদের তথ্যে স্পষ্ট,
- ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দুবছরে স্কুলছুটের সংখ্যা
- ৩.৩ শতাংশ থেকে ১.৫শতাংশে নেমে এসেছে
- যেখানে জাতীয় স্তরে স্কুলছুটের গড় ৪ শতাংশ থেকে
- বেড়ে ৫.৫ শতাংশ দাঁড়িয়েছে
তাই ঘরে ঘরে আলো জ্বালিয়ে জীবন গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে সরকারের আবেদন,৬ বছর হলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করিয়ে দিন।