রাজ্যের খবর

আবাস যোজনার তালিকায় ভূতুড়ে নাম, বিপাকে উপভোক্তারা

Ghostly names in the housing scheme list, consumers in trouble

Truth Of Bengal: আবাস যোজনার তালিকায় ভূতুড়ে নামের জেরে বিপাকে পড়েছেন উপভোক্তারা। পঞ্চায়েত প্রধান ও এলাকাবাসীদের দাবি, সুদেষ্ণা রায় নামে গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় এক উপভোক্তার নাম পাঁচবার তালিকায় উঠেছে। তবে ওই উপভোক্তার নাম সুদেষ্ণা রায় হলেও স্বামী বা বাবার নাম নিয়মানুসারে বদল হয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী কোন মানুষই নেই এলাকায়।

জানা গেছে, তালিকায় সুদেষ্ণা রায়ের নাম থাকা সত্ত্বেও তার পরিচয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তার নাম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পাঁচবার তালিকায় এসেছে, কিন্তু প্রতিবার তার স্বামী বা বাবার নাম বদলে গেছে। কখনও তার স্বামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গুরুপদ মাঝি, কখনও মানিক দাস, আবার কখনও তার বাবার নাম হয়েছে শক্তিপদ খাঁ বা বিশ্বনাথ দাস। তবে, স্থানীয় উপভোক্তা ও গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন, জগদানন্দপুর এলাকায় এই নামের কোনও ব্যক্তি নেই।

এ ঘটনায় কাটোয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নেতা গৌতম ঘোষাল অভিযোগ করেছেন, “সরকারি কর্মীদের গাফিলতির কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শাসকদলকে হেয় করার জন্য এবং টাকা আত্মসাৎ করতে সরকারি কর্মীরা ভূতুড়ে নাম তালিকায় ঢুকিয়েছে।” তিনি দাবি করেছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত করা হোক।

বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্যও অভিযোগ করেছেন, “এখন সব ভুয়ো নাম বেরিয়ে এসেছে। তৃণমূল এতদিন এইভাবে টাকা আত্মসাৎ করত। আমরা জানি, সুদেষ্ণা রায় নামে এই এলাকায় কেউ নেই। ভূত বের করার জন্য আমরা তদন্ত চাইছি।”

এদিকে, কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারি জানিয়েছেন, “আমরা সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও উপভোক্তাকে খুঁজে পাইনি। তবে এই ভূতুড়ে নামগুলি তালিকায় কীভাবে এসেছে, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”

প্রকৃত উপভোক্তারা জানিয়েছেন, তারা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও, তালিকার নামের সঙ্গে তাদের নাম মেলে না বলে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে যাচ্ছেন না। তাই তারা এখন প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার পর, স্থানীয় গ্রামবাসী, রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসন একযোগে তদন্তের দিকে নজর দিচ্ছেন, যাতে ভূতুড়ে নামের রহস্য উন্মোচিত হতে পারে এবং প্রকৃত উপভোক্তারা তাঁদের অধিকার পেতে পারেন।