পুরুলিয়ায় শ্বেত পলাশের সন্ধান, গাছ সংরক্ষণে বন দফতর
Discovery of White Palash in Purulia

The Truth of Bengal: পুরুলিয়ার বিশেষ আকর্ষণ পলাশ। এই পলাশের টানে বসন্তকালে বহু পর্যটক পুরুলিয়া বেড়াতে আসেন। একেবারে অন্য রুপে ধরা পরে লাল মাটির এই জেলা। তবে এবার থেকে পুরুলিয়া আরও আকর্ষণ হয়ে উঠবে, কারণ একটা বা দুটো নয়, বনমহল পুরুলিয়া জুড়ে মোট আটটি জায়গায় ১৫ টি বিরল শ্বেত পলাশ বৃক্ষের সন্ধান পেয়েছে বনদফতর। মোট ১৫ গাছকে তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করতে সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সারল পুরুলিয়া বনবিভাগ। গত বছরই পুরুলিয়ায় শ্বেত পলাশের দেখা মিলেছিল। আর যাকে ঘিরে জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল চর্চা।
তবে এবার তাতেই মিলেছে শিলমোহর। মাটিতে পড়ে যাওয়া শ্বেত পলাশ ফুল থেকে জিনপুল সংরক্ষণ করে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে চারা তৈরি করে এই সাদা বৃক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা বনদপ্তরের। সেইসঙ্গে উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আরও এক বড়সড় পদক্ষেপ। আসলে পুরুলিয়ার পলাশের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বাংলার পর্যটন। লাল পলাশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সমগ্র দেশজুড়েই বেশ কয়েক বছর ধরে ঘুরছে। আর এবার লাল পলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাসন্তী-হলুদ সেই সঙ্গে বিরল শ্বেত পলাশও।
তবে গত বছর থেকেই এই শ্বেত পলাশ নিয়ে হইচই শুরু হয়। গাছের দাম, লিজ দেওয়া নিয়ে ৮০ লক্ষ টাকা দর ওঠে। এর পরই শ্বেত পলাশের গাছে ক্ষত দেখা যায়। এই বিষয়টি নজরে আসতেই সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় ওই গাছগুলির রোগ নিরাময়ে পদক্ষেপ নেয়।শোনা গিয়েছে গ্রামীণ কবিরাজ মহল সন্তর্পনে এই গাছের ছাল থেকে আঠা বার করে বন্ধ্যাত্ব নিরাময় করার চেষ্টা করছেন। তবে এই বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনও প্রমান মেলেনি। এই গাছ নিয়ে গবেষণা চলছে।