
The Truth of Bengal: গতির যুগে ঝাঁচকচকে রাস্তা বা পরিকাঠামো না থাকলে যোগাযোগের উন্নতি অসম্ভব।শিল্পের বিনিয়োগকারী থেকে কর্মব্যস্ত মানুষের প্রত্যাশা মেনেই রাজ্যে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ দ্রুততর করে বাংলার সরকার। অভিযোগ, কেন্দ্র গ্রামীন সড়ক নির্মাণে সাড়ে ৮হাজার কোটি টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যোগাযোগের যোগসূত্র গড়ছে। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইমতো জেলায় মোট ৮,৭৬৭টি রাস্তা নির্মাণ এবং মেরামতের কাজ হয়। যার মধ্যে ৭,২১৯টি নতুন রাস্তা তৈরি এবং ১,৫৪৮টি রাস্তা সারাই করা হয়।
সেই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হল। আড়গোয়াল পঞ্চায়েত এলাকায় দুটি নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে। সিঞ্চারী গ্রামে শীতলা মন্দির থেকে যে রাস্তাটি হচ্ছে তার ব্যয় ধরা হয়েছে ৯লক্ষ ৬৬হাজার টাকা আর অন্য রাস্তাটির খরচ হতে পারে ৬৮লক্ষ৬হাজার টাকার বেশি। জেলায় যোগাযোগ বাড়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। শিল্প -ষজ্ঞে সাহায্য করতে পরিকাঠামোর আমূল বদল আনা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন রাস্তায় একশদিনের জবকার্ড হোল্ডার বা শ্রমিকদের কাজ দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্যসরকারই আর্থিক সংস্থান করছে। এবার বকেয়া নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে পথশ্রী -৩ প্রকল্প। সেখানে একাধিক উদ্দেশ্য সাধন হবে বলে প্রশাসনের আশা।একদিকে একশদিনের শ্রমিকদের রুটি রুজি হচ্ছে অন্যদিকে ছোট-মাঝারি শিল্প উদ্যোগীদের সুবিধা হবে বলে আশা সবপক্ষের। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার রাস্তার যে ভোলবদলে যাচ্ছে তা বলাই যায়।