রাজ্যের খবর
Trending

স্কুলেই হচ্ছে চাষ! মিড-ডে মিলের খাবারে এবার কি পাচ্ছে পড়ুয়ারা?

Chittaranjan East in Asansol at Amladhi Sicherpally Lower Primary School

The Truth Of Bengal: স্কুলে চাষ হচ্ছে মাশরুম। সেই মাশরুম দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পাতে। সব সম্ভব হয়েছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায়। অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল আসানসোলের চিত্তরঞ্জনের পূর্ব আমলাদহি ছয়েরপল্লি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের কী ভাবে আরও পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়—সেই ভাবনা থেকে মাশরুম চাষের কথা মাথায় আসে।

স্কুলঘরে মাশরুম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল চিত্তরঞ্জনের পূর্ব আমলাদহি ছয়েরপল্লি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। এক শিক্ষক ও তিন শিক্ষিকার মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। স্কুলের প্রায় ৮০ জন ছাত্রছাত্রীকে পুষ্টিকর খাবার দিতেই এই পরিকল্পনা বলে জানালেন প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না মণ্ডল। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এই প্রক্রিয়া চলছে। স্কুলে চাষ হওয়া মাশরুম পড়ুয়াদের দুপুরের খাবারের পাতে তুলে দেওয়া হয়।

মিড-ডে মিলের খাবারে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এই মাশরুম। সপ্তাহে দু’দিন আলু দিয়ে মাশরুমের তরকারি দেওয়া হয় শিশুশ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের। সকলেই আনন্দের সঙ্গে এই তরকারি চেটেপুটে খায়। কী করে এই  মাশরুম চাষ করার কথা মাথায় এল? সেই সম্পর্কে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না মণ্ডল জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন স্কুলের পড়ুয়াদের কী করে দুপুরে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়। যদিও সপ্তাহে একদিন ডিম, সোয়াবিন ও মাসে একদিন মাংস দেওয়া হয়। তবুও তিনি ভাবেন নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া যায় কীভাবে– সেই কথা ভাবতেই মাশরুম চাষের কথা মাথায় আসে।

স্কুলের শিক্ষকরা হাতে-কলমে মাশরুম চাষের পদ্ধতি শিখে ফেলেন এক সপ্তাহে। যে পদ্ধতি মেনে অন্য জায়গায় মাশরুম চাষ হয়, সেই ভাবে এখানেও চাষ হচ্ছে। তবে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে এই কাজ করেন শিক্ষকরা। মাশরুম তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। যা নিজেদের পকেট থেকে দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চেনা মিড ডে মিলে বদল এসেছে মাশরুমের জন্য। স্কুলে চাষ হওয়া মাশরুম খাওয়ার পাতে পাচ্ছে পড়ুয়ারা। মিড ডে-মিলে ভিন্ন ধরনের খাবার পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা।

Related Articles