রাজ্যের খবর

বিরাট সাফল্য পুলিশের, ৭২ লক্ষ্য টাকা প্রতারনার পর্দা ফাঁস

Big success of the police, 72 target money fraud screen exposed

The Truth Of Bengal : হুগলি : রাকেশ চক্রবর্তী ঃ প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে হরিপাল থানার পুলিশ এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত আরো বেশ কিছু প্রতারকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

মঙ্গলবার হরিপাল থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষানু রায়। সেই বৈঠকে পুলিশ সুপার জানান, “বেশ কিছুদিন আগেই চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল হরিপাল থানায়। এরপরেই তদন্ত শুরু করলে তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত প্রথমে বাপ্পা রাউৎ নামে এক ব্যক্তিকে নদীয়ার কল্যানী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত মাসের ১৯ তারিখ বাপ্পা রাউৎকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।বাপ্পা রাউৎকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এই চক্রের সাথে জড়িত দীপক দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো দুই প্রতারকের খোঁজ পায় পুলিশ। এম ডি বাসার ও সুপ্রিয় বিশ্বাস নামে দুজনকে তমলুক ও রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বর্তমানে জেল হেফাজতে আছে বাপ্পা রাউত এবং বাকি তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত গতি আনতে বা এই চক্রের সাথে আরো কারা কারা জড়িত তাদের খোঁজ পেতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

অভিযুক্তদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নিয়োগপত্র সম্পর্কিত বেশ কিছু জাল নথি, ভুয়া নিয়োগপত্র ,দুটি মোবাইল সহ একটি চার চাকার গাড়ি। অভিযুক্তরা নিজেদের কল্যাণী এমসের কর্মচারী এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত আছে বলে পরিচয় দিয়ে গোটা রাজ্যেই জাল বিছিয়ে ছিল বলে দাবি পুলিশের।
সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলী গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায় আরো জানান শুধু হুগলি জেলায় নয় পুরো রাজ্যেই এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারক দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

অভিযোগকরি হরিপালের বাসিন্দা শিবনাথ দে এর দাবি ২০২১ সালে দীপক দাসের সাথে পরিচয় হয় এবং নিজেকে রাজ্য সরকারের বড় অফিসার বলে পরিচয় দেয়। এর পরই শিবনাথ দে চাকরির টোপ দীপক দাস। শিবনাথ দে তার নিজের আত্মিয়দের কল্যাণী এমসে চাকরি করে দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে ৭২ লক্ষ টাকা দেয় দীপক দাস সহ কয়েক জনকে। এরপর তাদের ভুয়ো নিয়োগ পত্র দেওয়া ধাপে ধাপে পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।চার মাস পরই শিবনাথ দে জানতে পারেন তার আত্মীয়ারা প্রতারণার স্বীকার।গত বছর ডিসেম্বর মাসে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিবনাথ দে।এর পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে এর আগেও একাধিক দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দীপক দাস কে।

Related Articles