চা বলয়ে মহিলাদের প্রশিক্ষণ, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে এগিয়ে এল প্রশাসন
Administration came forward to train women in tea ring

The Truth Of Bengal : চা বাগানের মায়ামাখা মাটির সঙ্গে ওঁদের জীবনের লড়াই জড়িয়ে আছে। সেই জীবন সংগ্রামকে যন্ত্র সভ্যতার সাহায্যে গতি দিতে এগিয়ে এল প্রশাসন। স্কুলের ইউনিফর্ম তৈরির কাজ শিখেই দুহাত ভরে রোজগারের উপায় তৈরি হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি মধু বাগান এলাকায় দেওয়া হচ্ছে সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ। সমবায়ের শক্ত বাঁধন তৈরি করেই দুটি পাতা একটি কুঁড়ির জীবনছন্দকে আনন্দময় করার প্রক্রিয়া আলাদা ছোঁয়া পেল। কমল হাতে যাঁরা সবুজ পাতা তুলে সকালের মেজাজ তৈরি করেন সেই নারীশক্তির আর্থিক স্বাধীনতার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। কারণ বাগানের কাজ করার পরেও আলিপুরদুয়ারের মেয়েদের হাতে যথেষ্ট সময় থাকে। সেইসময়ের মধ্যে মহিলাদের সেলাই শেখার জন্য প্রশিক্ষণ। আর প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর করার এই সহজপাঠ উপার্জনের একাধিক জানালা খুলে দিচ্ছে। মিলছে মুক্তির সন্ধান। যেখানে নিজেই নিজের অর্থ উপার্জনের চাবিকাঠি হাতে পাচ্ছে।
- বাগান শ্রমিকদের মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে ১৫০০টাকা
- প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে এই ভাতা
- ৩২টাকা থেকে বেতন বেড়ে হয়েছে ২৫০টাকা
- সমবায় পদ্ধতিতে মহিলা শ্রমিকদের স্কিল বাড়ানো হচ্ছে
বাগান বন্ধ হলেও বা বাগানে কাজ না থাকলেও যাতে কর্মসংস্থানের অভাব না হয় সেজন্য স্থানীয় সমবায় সমিতির উদ্যোগে এই সেলাই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। কালচিনি ব্লকের বীচ চা বাগান, মধু, মেচাপাড়া, ভার্নাবাড়ি সহ একাধিক চা বাগানের যুবতীদের এই সেলাই প্রশিক্ষণ অসময়ে কাজের সুযোগ তৈরি করে দেবে বলে আশা চা-শ্রমিকদের।
পর্যটনের বাহারি দৃশ্যকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠছে হোমস্টে। আর বাগানের প্রাণচঞ্চল অর্থনীতিতে আলাদা প্রাণের ধারা বয়ে আনছে মহিলাদের এই স্বনির্ভরতার পাঠ। এমনটাই মনে করছেন বাগান শ্রমিক থেকে শ্রমিক সংগঠনগুলো।
FREE ACCESS