রাজনীতিরাজ্যের খবর

ভোটের লাইনে ৫ জনকে গুলি করে মেরেছিল,’ শীতলকুচি প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থীকে নিশানা মমতার

5 people were shot dead in the polling line,' Mamata targets the BJP candidate regarding Shitalkuchi

The truth of bengal: কৃষ্ণনগর পরে উত্তরবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের মাথাভাঙা দিয়ে উত্তরবঙ্গে প্রচারের সূচনা করেন। একই  দিনে কোচবিহারেও জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের মঞ্চ কোচবিহার থেকে বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে শীতলকুচি ক্ষত উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। নাম না করে তোপ দাগেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীর দিকে, যিনি সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের লাইনে রক্ত ঝরেছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে সেই রক্তাক্ত ইতিহাস উঠে এল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। সেই সময় জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস ধর। যিনি চাকরি ছেড়ে এখন বিজেপি প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। সেই প্রসঙ্গে মমতার খোঁচা, ‘শীতলকুচিতে এত মানুষ মেরে হাতের রক্ত এখনও মোছেনি। এখন বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।‘ বৃহস্পতিবার মাথাভাঙার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বিধানসভা নির্বাচনের সেই ক্ষত উস্কে দিলেন। সেই সঙ্গে কোচবিহারের মানুষকে মনে করিয়ে দিলেন, শীতলকুচিতে কীভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানালেন। মাথাভাঙার সভা থেকে মমতা বলেন, ‘ভোটের সময় শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়ানো ৫ জনকে গুলি করে মেরেছিল। ৪ জন সংখ্যালঘু ও ১ জন রাজবংশী ভাই ছিল সেখানে। নির্বাচনের মাঝেই ছুটে এসে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।

এর পর বিজেপিকে বিঁধে বলেন, যে লোকটার নির্দেশে এটা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে আমার সরকারের দুটো ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। আমরা রাজ্য সরকার আপত্তি করা সত্ত্বেও ভারতবর্ষের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে। কোনও আইনকানুন কিচ্ছু মানেনি। সংবিধান মানেনি। তিনি আবার বীরভূমে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে এত মানুষ মেরে, হাতের রক্ত এখনও মোছেনি।‘

কোচবিহারের সেই রক্তক্ষয়ী ঘটনার সময় জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস ধর। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে। তাঁকে এখনও ক্লিনচিট দেয়নি রাজ্য। অথচ সেই দেবাশিস ধরকে বীরভূমে প্রার্থী করেছে বিজেপি। দুটো বিষয়কে এক করে এদিন তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে শামিল হয়েছিলেন তাঁরা। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পরিণতি হয়েছিল মৃত্যু। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা এখনও ক্ষত হয়ে আছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। ৩ বছর পর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আবার সেই শীতলকুচির ঘটনা উঠে এল তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়।

Related Articles