
Truth Of Bengal, Barsa Sahoo :
- নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘সুষ্ঠু সমাধান হোক। দোষীদের শাস্তি হোক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, যদি কেউ দোষী থাকে, তাঁর শাস্তি হোক। দোষী তো সকলেই। আমি চাইব তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে শাস্তি দিন।’’
- কিছু ক্ষণের মধ্যেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে শুরু হচ্ছে বৈঠক।
- কালীঘাটে পৌঁছালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বাস থেকে নামার সময় আন্দোলনকারীরা জানালেন, নিজেদের পাঁচটি দাবিতে তাঁরা অনড়। কালীঘাটে পৌঁছে স্লোগান জুনিয়র ডাক্তারদের, ‘বিচার চাই’। এ দিকে কালীঘাটে কড়া নিরাপত্তা। ৩২ জন ঢুকলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। তবে বাসভবনে ঢোকার আগেও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান জুনিয়র চিকিৎসকদের। ইতিমধ্যেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা। তবে কালীঘাটে পৌঁছলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী। কালীঘাটে পৌঁছেছে বাস। সেখান থেকে নামছেন আন্দোলনকারীরা।
- ‘অভয়া’র বিচার চেয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী কাল অর্থাৎ রবিবার থেকে ১২ ঘন্টা করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেবে জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
- যে পাঁচ দফা দাবির কথা তাঁরা তুলেছিলেন, সেগুলি হল—
১) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার।
৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা।
৪) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়া এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।
- আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘এখনই ওখানে গিয়ে কথা বলতে চাই। আমরা কোনও ভাবেই দ্বিতীয় পরিবহ আন্দোলন হতে দেব না। আমরা আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করব। আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে, ভয় দেখিয়ে বোঝানো যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের কাছে যেটা প্রমাণ করতে চাইছেন, আমাদের জন্য আলোচনা হচ্ছে না। আমরা দেখতে চাই। আমরা যে ভাবে নবান্নে ৩০-৩৫ জনের দল গিয়েছিলাম, সকলে যাব।’’
- আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ন্যায্য। সে জন্য তিনি এসেছিলেন। যে কোনও জায়গায় আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। ভেবেছিলাম প্রশাসনিক জায়গায় ডাক আসবে, কিন্তু অদ্ভুত ভাবে কালীঘাটে ডাক এল। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে। তিনি হয়তো ভাবছেন, আমরা যাব না। কিন্তু আমরা যাব। সদিচ্ছা রয়েছে বলেই যাব।’’