বাঁধ রক্ষায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ! সুরক্ষায় নজর প্রশাসনের
15 lakhs allocated for dam protection

The Truth of Bengal: কথায় বলে, ডাঙায় বাঘ জলে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে থাকতে হয় সুন্দরবনের মানুষকে।তার থেকেও সুন্দরবনবাসীর কাছে ভয়ের কারণ হল নদী ভাঙন।আয়লা,আমফান,ইয়াসের মতো বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডব এখনও ভয়ে কুঁকড়ে দেয় উপকূলের প্রান্তিক মানুষদের। আর বর্ষার বৃষ্টি যদি বাড়ে ততই বুক কাঁপতে থাকে সুন্দরবনের মানুষদের। একরাশ আতঙ্ক নিয়েই মাথায় নিয়ে দিন কাটে তাঁদের। সুন্দরবনের ঝড়খালী, গোসাবা, সজনেখালী , বাসন্তী সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বেহাল নদীবাঁধের জন্য দুর্ভোগে পড়েন। অনেক সময় ভরা কোটাল এর সময় রাতে ঘুম উড়িয়ে জেগে বসে থাকতে হয়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে জীবন রক্ষায় নিজেরাই উদ্যোগ নেন সুন্দরবন এলাকার প্রমিলা বাহিনী। নদী বাঁধকে বাঁচাতে হাতে হাত লাগান তারা।
বাঁধের ভাঙ্গন রোধে নদীর চড়ে লাগানো শুরু করেছেন নদীমাতৃক গাছ। বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীপের মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র কিছু করুক চায় সাধারণ মানুষ। স্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ থেকে ভূমিভাগের সুরক্ষায় স্থায়ী পরিকল্পনার দাবিও তুলেছে তাঁরা। কিন্তু ভূ-পর্যটন থেকে ঐতিহ্যের ভূমি রক্ষার থেকে কেন্দ্র রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই সাগর, নামখানা, বকখালি, মৌসুনি ও গোসাবার একাধিক নদী বাঁধে কাজ শুরু করতে তত্পরতা শুরু করল রাজ্যের সেচ দপ্তর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ। সামনেই আবার অমাবস্যার ভরা কোটাল রয়েছে। অমাবস্যার ভরা কোটাল এর আগে নদী বাঁধের কাজ সুসম্পন্ন করতে চায় রাজ্যের সেচ দপ্তর।
এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, পূর্ণিমার ভরা কোটাল কথা মাথায় রেখে সংস্কারের কর্মকাণ্ডে জোর দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে অর্থবরাদ্দ করছে।পঞ্চায়েত গুলো গণ-উদ্যোগে বন্যানিয়ন্ত্রণ ও নদীর ভাঙন রুখতে লড়াই করছে।সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবদিক দিয়ে সুসমম্বিত উদ্যোগ প্রশংসা আদায় করছে। সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ রোপন থেকে বাঁধের ভিত শক্ত করা,মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় রাখার ব্যবস্থা থেকে রোজগারের স্থানীয় পর্যায়ে সুযোগ তৈরি করেছে প্রশাসন। বহুমুখী চিন্তা কার্যকর করার ফলে আগামীদিনে বিপর্যয় রোধে যতটা সম্ভব প্রতিরোধের বাঁধ তৈরি করা যাবে বলে সকলের আশ।