
The Truth of Bengal: ঘরে বসে বোর হচ্ছেন ? ভাবছেন ছুটিতে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় ? তাহলে চলুন আজ আপনাদের এমন এক জায়গার সন্ধান দেব যা ভারতের অন্যতম অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের একটি। ভারতের পর্যটন মানচিত্র যদি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে, দক্ষিণ ভারতেই এমন অনেক অজানা স্থান রয়েছে যা দৈনন্দিন জীবনে মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেনা। তবে, আজ আপনাদের নিয়ে যাব কেরলের শৈলশহর ভাগামনে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ট্রাভেলর-এর তৈরি করা ভারতের সব চেয়ে আকর্ষণীয় ৫০টি গন্তব্যের তালিকায় রয়েছে ভাগামন। চায়ের চাষ শুরু করার জন্য ব্রিটিশরা এখানে প্রথম আসে।
পত্তন হয় চা-বাগানের। কিন্তু আজও, এই একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের শেষেও এতটুকু বাণিজ্যিক গন্ধ লাগেনি ভাগামনের গায়ে। প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে এই অপূর্ব শৈলশহর। তিন পাহাড়ের দেশ এই ভাগামন – তঙ্গল পারা, এক শ্রদ্ধেয় সুফি সাধকের বিশ্রামস্থল, মুরুগানমালা-শিবের পুত্র মুরুগাকে উৎসর্গীকৃত এবং কুরিসুমালা-খ্রিস্টানদের জনপ্রিয় তীর্থস্থান। অর্থাৎ ভাগামন হল সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের জায়গা। পাশাপাশি, একাধিক দর্শনীয় স্থানও রয়েছে এখানে। ভাগামন লেক থেকে শুরু করে মারমালা জলপ্রপাত, মুন্ডকায়াম ঘাট থেকে ব্যরেন হিলস্- প্রত্যেকটি স্পটই নজর কাড়তে বাধ্য আপনার।
এবার প্রশ্ন হল যাবেন কী করে? ভাগামনের কাছাকাছি রেলস্টেশন কোট্টায়াম, দূরত্ব ৬৪ কিমি। ভারতের প্রায় সব বড়ো শহরের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত কোট্টায়াম। তবে সরাসরি ট্রেনের বেশির ভাগই সাপ্তাহিক বা দ্বিসাপ্তাহিক হওয়ায়, চেন্নাইয়ে ট্রেন বদল করে যাওয়ার সুবিধা বেশি। কলকাতা থেকে আপনি গুরদেব এক্সপ্রেস বা শিলচর-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেসে করেই আপনি পৌঁছে যেতে পারেন। থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক হোটেল-রিসর্টও। তাহলে আর দেরি কীসের? স্বল্প খরচেই পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে আসুন কেরলের এই শৈলশহর থেকে।