১২০০বছরের বেশি পুরনো বরাকরের সিদ্ধেশ্বর মন্দির সংস্কারের কাজে এগিয়ে এল জাতীয় পুরাতত্ব বিভাগ
Siddheswari Temple

The Truth of Bengal: পশ্চিম বর্ধমানের প্রান্তিক এলাকায় রয়েছে বরাকর। যার প্রাচীন নাম বেগুনিয়া। দামোদর নদের কাছেই রয়েছে সুপ্রাচীন-ঐতিহাসিক-নান্দনিক ও অপরিসীম প্রত্নতাত্বিক মূল্যের নানা নিদর্শন। পাথরের দেউলের সমষ্টিগত উপস্থিতিতেই রয়েছে সিদ্ধেশ্বর মন্দির।কথিত আছে,১২০০বছরের পুরনো এই শিবের মন্দির বাংলার কৃষ্টি-পুরাতত্বের জীবন্ত রূপ।মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ সবথেকে বেশি নজর কাড়ে।উড়িষ্যা রেখা বা শিখর রীতিতে তৈরি অপূর্ব দেউল কালের গহ্বরে ঔজ্বল্য হারালেও কারুকাজের জন্য কৌলিন্যে এখনও সে চিরভাস্বর।
কেমন রয়েছে এই ঐতিহ্যের মন্দির ? কী তার অবস্থা তা জানতেই আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিক রাজেন্দ্র প্রসাদ যাদব বুধবার খতিয়ে দেখেন। অবহেলায় অনাদরে পড়ে থাকা এই ভারতীয় মন্দির সংস্কৃতির নিদর্শনকে কি করে সংস্কারের ধারায় সামিল করা যায় তার রূপরেখা চূড়ান্ত করার কথা দিল জাতীয় সংস্থা। মূলতঃ মন্দিরকে পুণরুদ্ধার ও তার হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কর্মষজ্ঞ শুরু করার উদ্যোগ লক্ষ্যণীয়।নিকাশী থেকে মন্দির চত্বরকে নবরূপ দেওয়ার নীলনকশা কার্যকর করার কথা দেন বিধায়ক অজয় পোদ্দার।
আগামীদিনে জেলাশাসক ও মেয়রের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এই অঞ্চলের নিকাশি ব্যবস্থার সমাধান করা হবে। আগে বরাকর নদী তীরবর্তী অঞ্চলে এই মন্দির গড়ে উঠলেও এখন নদী অনেকটাই দূরে সরে গেছে।সম্ভাবনাময় এই পর্যটন কেন্দ্র যাতে জাতীয় স্তরে উজ্বল রূপে ধরা দেয় সেজন্য তোড়জোড় জোরদার করা হচ্ছে।রীতিমতো পাঠ্যপুস্তকে তথ্য সংবলিত বই সাধারণের জানার জন্য সামনে আনা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।বাংলার মন্দির গাত্রে শিল্পকলার কাজ ভ্রমণপিপাসু ও ইতিহাস সন্ধানীদের সামনে তুলে ধরার এই গণ-উদ্যোগকে সহযোগিতা করছে প্রশাসন।
Free Access