
The Truth of Bengal: ঐতিহাসিক ছোঁয়া আছে এমন জায়গায় যেতে সবাই প্রায়ই বেছে নেন মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া। আজ হাজার বছরের এক ইতিহাসের সন্ধান দেব আপনাদের। শহর কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। কলকাতা থেকে মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের রাস্তা। যেতে হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি। সেখান থেকে মণি নদী পেরিয়ে যেতে হবে আর একটু দূরে। প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে আছে পূর্বজটা গ্রাম। সেখানে দেখা মিলবে নবম-দশম শতকের ইতিহাস। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে জটার দেউল।
ইতিহাসবিদ এবং প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, এই দেউল আনুমানিক নবম-দশম শতকে নির্মাণ করেছিলেন চন্দ্র বংশীয় রাজা জয়ন্ত চন্দ্র। যা আজও বহু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সংস্কার হয়েছে। তাতে মূল কাঠামোর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আবার পাল্টে গিয়েছে দেউলের সংস্কৃতিও। বহু প্রাচীন এই ইতিহাস আবিষ্কারের পেছনে আছে এক অন্য রকম কাহিনি। সুন্দরবনের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় ১৮৬৮ সালে জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কৃত হয় জটার দেউল।
অনেকে মনে করেন, এই দেউল আনুমানিক ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন রাজা জয়ন্তচন্দ্র। তবে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। জটার মন্দির হিন্দু মন্দির না বৌদ্ধ মন্দির– তা নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে। কেন নাম হল জটার দেউল? ইতিহাস অনেক কথা বললেও, এলাকায় জনশ্রুতি আছে অন্যরকম। শোনা যায়, জটাধারী এক দৈত্য এখানে বাস করত। তাই নাম হয়েছে জটার দেউল। অন্য আর একটি মত আছে। শিবের জটা থেকে নাম হয়েছে জটার দেউল। তবে বিতর্ক যাই থাক সুন্দরবনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলা এই ইতিহাস নির্ভর দেউল রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বেশ ভাল জায়গা করে নিয়েছে। অল্প সময়ের জন্য কোথাও যেতে হলে ঘুরে আসতে পারেন জটার দেউল।