
The Truth of Bengal: কংসাবতী জলাধারের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সোনাঝুরি, শিমুল, পলাশ, পিয়ালের জঙ্গল। সেখানেই রয়েছে দোলাডাঙা গ্রাম। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রামটি একেবারেই শান্ত-স্নিগ্ধ। এল্টু নিরিবিলিতে কয়েকটি দিন কাটাতে চাইলে যেতে পারেন দোলাডাঙায়। শাল পিয়ালের জঙ্গলে ভরা সেই গ্রাম। ভরা বর্ষায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ে পুরুলিয়ায়। আর এই সময় নতুন সাজে সেজে ওঠে ডোলাডাঙা। গ্রাম্য পরিবেশে কটেজে বসেই দেখতে পাবেন কংসাবতীর জল, কুমারী নদীর বয়ে চলা। এরই অন্য পাড়ে রয়েছে মুকুটমণিপুর জলাধার।
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ড্যাম থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে দোলাডাঙা। মাত্র ৯-১০টি ঘর নিয়ে গড়ে উঠেছে দোলাডাঙা। সেই গ্রামে মাত্র ৪০ জন মানুষের বাস। গ্রামের আদিবাসীদের জীবনধারা খুবই সাধারণ। দোলাডাঙায় ঘুরতে এসে নিতে পারেন ছৌ নাচের মজা। আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব গানে নৃত্য পরিবেশন করেন। আদিবাসীদের সেই গ্রাম্য জীবনযাপনের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নিতে পারেন। দোলাডাঙার অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প গড়ে উঠেছে সোনাঝুরির জঙ্গলের মাঝে। তাই শহুরে কোলাহলের চিহ্ন নেই এখানে। এখানকার কটেজগুলি অস্থায়ী। তাঁবু খাটিয়ে থাকা যায় দোলাডাঙায়। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কংসাবতীর ধারে বসে সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে। অবসর যাপনের জন্য সেরা জায়গা এই দোলাডাঙা।
কীভাবে যাবেন
সাঁতরাগাছি থেকে সকালে আপ ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে হবে বাঁকুড়া /পুরুলিয়া। স্টেশনে নেমে টোটো বা বাসে চেপে মানবাজার পৌঁছে যান। সেখান থেকে পৌঁছে যান দোলাডাঙা।
কোথায় থাকবেন
দোলাডাঙা ছোট ছোট মোট ১২টি তাঁবু আছে। সেখানে থাকতে পারেন। সেই তাঁবু থেকে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। যারা প্রকৃতি ভালবাসেন তারা অবশ্যই দোলাডাঙা ঘুরে আসতে পারেন।