
The Truth of Bengal: কালিম্পং কখনও ভ্রমণ পিপাসুদেরকে হতাশা করে না। কালিম্পং এর কিছু এমন লোভনীয় গ্রাম আছে যা পর্যটকেরা যেতে বারবার পচ্ছন্দ করবে। এই রকমই এক লোভনীয় গ্রাম হল চুইখিম। কালিম্পঙের দক্ষিণে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চুইখিম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে অবশ্যই আকর্ষণ করবে। পাহাড়ি গ্রাম মানেই শান্ত পরিবেশ, মেঘে ঢাকা, চারপাশ চা বাগানে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশ। চুইখিমে বসবাসের সংখ্যাও কম । প্রায় ২০০ – ২৫০ টি পরিবার রয়েছে এখানে। এই অঞ্চলের বেশিভাগ মানুষের জীবিকা চাষাবাদ। পর পর সবুজে চা বাগান দেখে আপনার চোখ দুটো জুড়িয়ে যাবে। পাহাড়ের যত উপরের দিকে উঠবেন শুনতে পাবেন পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ।
দুপাশের ঘন পাহাড়ি গাছপালার মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছে সূর্যের কিরণ। দুপাশের পাহাড়ের মাঝখান বরাবর চলে গিয়েছে রাস্তা। কুলুকুলু শব্দ সমেত পাহাড়ের গা বেয়ে বয়ে চলেছে লিস নদী। আরও একটি নদী রয়েছে। এই দুই নদীর মাঝখান বরারবর অবস্থিত এই পার্বত্য উপত্যাকা চুইখাম। চুইখিমের পাহাড়ি জঙ্গলে মাঝে মধ্যে শুনতে পাবেন লেপার্ডের শব্দ। তাই রাত্রিবেলা একা একা এই পার্বত্য উপত্যাকায় বেরবেন না। কেবল চা চাষ না , হয়ে থাকে ভুট্টা থেকে শুরু করে কমলালেবু, স্ট্রবেরি চাষও। যত রাত হবে কানে ভেসে আসবে ঝিঁঝিঁ পোকার গন্ধ। পাহাড়ের ঢালে দেখতে পাবেন নানা পাহাড়ি এক গুচ্ছ ফুল এবং অর্কিড।
ফুল পাখিদের পাশাপাশি দেখবেন ডানা ফেলে ফুলের উপর বসে আছে বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি। দেখে যেন মনে হবে ঠিক যেমন ক্যালেন্ডারে সুন্দর সুন্দর প্রকৃতির ছবি দেখেন, তেমনটা। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য অনুভব করতে গেলে আপনাকে পৌঁছাতে হবে শিলিগুড়ি সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান চুইখাম। এছাড়াও জীবনে অ্যাডভেঞ্চার করতে চাইলে আপনি বাইক চালিয়েও আসতে পারেন চুইখিমে। তবে সেখত্রে সময় তা বেশি লাগবে সেটাই স্বাভাবিক। এই গ্রাম খুবই ছোট তাই কোন হোটেল পাবেন না। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ি গুলিকে হমস্টে হিসাবে ব্যবহার করে। তাই আপনি চাইলে এখানেই থেকে যেতে পারেন।