
Truth Of Bengal: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়াংখেড়েত ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন অভিষেক শর্মা। অথচ একটা সময় তাঁকে নিয়েই ধোঁয়াশা বাড়ছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। এমনকি কেউ কেউ অভিষেককে নিয়ে বলেছিলেন, ‘অভিষেকের প্রতিভা আছে, কিন্তু ও নিজেকে ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছেন না।’
কিন্তু এখন! না তাঁকে নিয়ে আর এইরকম বলা ঠিক নয়, তা রবিবারই আরব সাগরের তীরে প্রমাণ করে দিলেন টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ ব্যাটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পরই অভিষেক ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না তাঁর মেন্টর প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংকে। কারণ, যুবিই যে তাঁর ওপর ভরসা রেখে বিশ্বাস করেছিলেন খুব শীঘ্রই অভিষেক জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপাবেন। এবং তাঁর প্রতি যুবির ভরসা রাখার জন্যই প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতাও জানাতে ভুললেন টিম-ইন্ডিয়ার ওয়াংখেড়ের হিরো।
প্রসঙ্গত, যুবরাজ এবং অভিষেক দুজনেই পঞ্জাব কি পুত্তুর। কাজেই অভিষেক যখন অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, ঠিক তখনই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় যুবির। তারপর থেকে যুবিই অভিষেকের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে ঘষামাজা করে তাঁকে তৈরি করেন।
শনিবার ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্ট ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন অভিষেক শর্মা। ১৩৫ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। অভিষেকের এই ইনিংসে ছিল ১৩টি ছয়। মূলত তাঁর ব্যাটিংয়ের কাঁধে চড়েই বিশাল রানের টার্গেট ইংল্যান্ডের সামনে খাড়া করেন স্কাই বাহিনী।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যুবির সম্বন্ধে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘যুবি ভাই আমার ব্যাটিং কৌশল নিয়ে গত তিন-চার বছর ধরে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি জাতীয় দলের হয়ে খুব শীঘ্রই খেলার সুযোগ পাব। এবং দলকে জেতাতে পারব। রবিবার যুবি ভাইয়ের সেই কথাটাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে যুবি ভাই ছাড়া আর কারও কথা আমার মনে আসছে না।’
এর পাশাপাশি অভিষেক আরও জানান, ‘যুবি ভাইয়ের সঙ্গে এখন আমার নিয়মিত কথা হয়। আমি আগেও বলেছি, যুবি ভাই সব সময় আমার পাশে থেকেছেন। যখনই সমস্যা হয়েছে মূল্যবান পরামর্শ চেয়েছি এবং উনি আমাকে তা দিয়ে সাহায্য করেছেন। সুতরাং আমি আজ পর্যন্ত কেরিয়ারে যা কিছু করতে পেরেছি সবই যুবি ভাইয়ের জন্য।’
এখানেই শেষ নয়, ওয়াংখেড়েতে অনবদ্য শতরান হাঁকানো অভিষেক আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়ে আমিও একটা ম্যাচে শতরান করেছিলাম। কিন্তু তারপরও আমাকে বাদ পড়তে হয়। তবে তার জন্য আমি ভেঙে পড়িনি। সবারই কঠিন সময় আসে। আমারও এসেছিল। ওই কঠিন সময়ে নিজেকে তৈরি করেছি। আরও পরিশ্রম করেছি। বিশ্বাস ছিল একদিন না একদিন সুযোগ পেলে ঠিক নিজেকে মেলে ধরব। অবশেষে রবিবার সেই দিনটাই এসে উপস্থিত হল আমার সামনে।’