Sheikh Mursalin: ভারতের জালে বল জড়ানো মোরসালিনের স্বপ্ন ভবিষ্যতে আইএসএল খেলা
ইতিমধ্যে ম্যাচ শেষের বেশ কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মোরসালিন এখনও যেন সেই মুহূর্তটার স্মৃতিই ফিরে ফিরে অনুভব করছেন এই বাংলাদেশ ফুটবলার।
সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: গত মঙ্গলবারের সন্ধ্যাটা চিরদিনে মনের মণিকোঠায় রেখে দেবেন বাংলাদেশের তরুণ ফুটবলার শেখ মুরসালিন। কেননা দেশের জার্সি গায়ে এই প্রথম গোলের স্বাদ পেলেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের জার্সি একমাত্র গোলদাতাও তিনি। ইতিমধ্যে ম্যাচ শেষের বেশ কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মোরসালিন এখনও যেন সেই মুহূর্তটার স্মৃতিই ফিরে ফিরে অনুভব করছেন এই বাংলাদেশ ফুটবলার।
ম্যাচ শেষে মোরসালিন ফোনে সেই প্রসঙ্গে জানান, ‘বাংলাদেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চে এটাই আমার প্রথম গোল। স্বাভাবিকভাবেই অনুভূতিটা অন্য ম্যাচের থেকে অনেকটা বেশি হবে, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি এটাও বলতে হয়, ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। এবং তাদের দলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা অনেক সিনিয়র ফুটবলার আছেন। দল হিসেবেও অনেক শক্তিশালী। সেই দলের বিপক্ষে আমার একমাত্র গোলে আমরা জয় পেয়েছি এটা যখনই ভাবছি, তখনই যেন মনের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। শিলংয়ে প্রথম ম্যাচ ড্র হওয়ার পর আমাদের ইচ্ছা ছিল আমাদের দেশের মাটিতে ম্যাচে যেন আমরা জয় পাই। সেই লক্ষ্য আমাদের পূরণ হয়েছে। তবে ভারতও দারুণ লড়াই করেছে। সত্যি কথা এই গোলটা আমার মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবে চিরকাল।‘
এরপর হামজা চৌধুরির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোরসালিন বলেন, ‘ সত্যিই আমরা ভাগ্যবান হামজার মত একজন ফুটবলারের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে মাঠের মধ্যে কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়াই করছি। এবং সবচেয়ে বড় কথা হল অনেক কিছু শিখতেও পারছি ওর কাছ থেকে। আগামী দিনে এটাই আমাদের চলার পথের পাথেয় হয়ে উঠবে।’
পাশাপাশি মোরসালিনের কথায় উঠে এল সুনীলের প্রসঙ্গও। সুনীল সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দলের এই ফুটবলার বলেন, ‘সুনীল আমার অন্যতম সেরা ফুটবলার। শিলংয়ে ও আমাদের বিপক্ষে খেলেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে ও খেলেননি। তবে এখনও সুনীল ভাই যেভাবে ক্লাব ফুটবলে খেলছেন, তার প্রশংসা করতেই হবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে সুনীল ছেত্রী বলেই।’
সবশেষে মোরসালিন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেন, ‘জানেন ভবিষ্যতে আমার স্বপ্ন রয়েছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল লিগ আইএসএল-এ খেলা। বিশেষ করে কলকাতার দুই প্রধানের জার্সি গায়ে চড়িয়ে খেলার স্বপ্ন আমার বহু দিনের। যদি কোনওদিন আমার কাছে প্রস্তাব আসে, তাহলে আর কোনওদিকেই তাকাব না। সেই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে নেব।’
মোরসালিনের পাশাপাশি আগামী দিনে এই উপমহাদেশের ফুটবল যাতে আরও উন্নত হয়ে ওঠে তার জন্য আরও বেশি করে ভারত ও বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ করার কথা বলেন ও দেশের ফুটবল ম্যানেজার আমের খান। তিনি বলেন, ‘ভারত বনাম বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ মানেই একটা আবেগ জড়িয়ে থাকে। এখন ফুটবলেো কর্পোরেট জগতের ছোঁয়া লাগায় সেই আবেগ যেন অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু আমার মতে, এই পথে না হেঁটে আরও বেশি করে দুই দেশের ফুটবল ম্যাচ করা উচিত। এতে ফুটবলের ভাল হবে। যাতে উপকৃত হবে দুই দেশই।’






